বঢোদরা: মাঠের মধ্যেই দাঁড়িয়ে তোলা একটি ছবি। কাঁধের ওপরে বসে ছেলে। পাশে স্ত্রী সাফা বেগ। সাফার মুখের মাস্ক খোলা। হাতে ধরে রয়েছেন মাস্ক। তবে ছবিতে নিজের মুখের ওপর এডিট করে কৃত্রিমভাবে মাস্ক এঁকে দিয়েছেন সাফা। আর সেই ছবি নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আক্রমণের শিকার হলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। বলাবলি হল, স্ত্রীর মুখ দেখাতে চান না ইরফান। ধর্মীয় গোঁড়ামির কথা তুলে ধরে অনেকে ইরফানকে কটাক্ষ করলেন। লেখালিখি হল, বোরখা বা হিজাব ছাড়া সাফার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেননি স্বয়ং ইরফান!
সমালোচনার মুখে পড়ে মুখ খুললেন ইরফান। নিন্দুকদের পাল্টা কটাক্ষ করলেন বঢোদরার তারকা। স্ত্রীকে 'রানি' বলে বর্ণনা করে লিখলেন, ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকে সাফা ছবিটি পোস্ট করেছিলেন। এতে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। ইরফান এ-ও জানান যে, তিনি একজন স্বামী। সাফার 'মালিক' নন। ইরফান ট্যুইট করেন, 'আমার ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকে আমার রানি একটি ছবি পোস্ট করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা আর ধিক্কারের শিকার হয়েছি। ছবিটি আবার পোস্ট করছি। এবার আ মার অ্যাকাউন্ট থেকে। স্ত্রী নিজের ইচ্ছেয় মুখ আবছা করে দিয়েছে। আমি ওর সঙ্গী, মালিক নই।'
এমনিতে আর্তদের সেবায় নিজেদের নিমজ্জিত করে ফেলেছেন পাঠান ব্রাদার্স। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হয়েছেন দুই সদ্য প্রাক্তন ক্রিকেটার। যদিও পুরো কাজটাই প্রচারবিমুখ হয়ে করছেন তাঁরা। বঢোদরায় হাজার হাজার লোকের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন ইউসুফ ও ইরফান। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন দুই ভাই মিলে। ইউসুফ অবশ্য এসব নিয়ে নির্লিপ্ত। বলেছিলেন, 'আমাদের সাধ্যের মধ্যে যা রয়েছে করছি। ঈশ্বর আমাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে যা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কারও ওষুধ, ইঞ্জেকশন, অক্সিজেন বা রক্ত-প্লাজ়মা দরকার হলে সেগুলো খতিয়ে দেখে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ট্যুইটারে কেউ সাহায্য চাইলে চেষ্টা করছি যতটা করা যায়।'