কলম্বো: ৬ রান নয়, বিশ্বকাপের শেষ ওভারে মার্টিন গাপ্টিলের ওভারথ্রো-তে ইংল্যান্ডকে ৫ রান দেওয়াই উচিত ছিল! সিদ্ধান্তগত ত্রুটির কথা মেনে নিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করে নিলেন শ্রীলঙ্কার আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। সাইমন টাফেল, কে হরিহরণরা আগেই বলেছিলেন, ফাইনাল ম্যাচের শেষে ওভারে অনফিল্ড আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তগত ভুল হয়েছে। এবার সেই ভুলের কথা মেনে নিলেন খোদ ধর্মসেনাও।


বিশ্বকাপ শেষে নিজের দেশে ফিরে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের সিদ্ধান্তগত ত্রুটি নিয়ে মুখ খুলেছেন কুমার ধর্মসেনা। তিনি মেনে নিয়েছেন তাঁর ভুল হয়েছে। তবে এই ভুলের জন্য তিনি অনুতপ্তও নন। তাঁর কথায়, “টেলিভিশন রিপ্লে দেখার পর মন্তব্য করাটা সহজ। আমি মেনে নিচ্ছি, এখন রিপ্লে দেখার পর মনে হচ্ছে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়েছে। কিন্তু, মাথায় রাখতে হবে, মাঠে আমাদের টেলিভিশন রিপ্লে দেখার মতো বিলাসিতা ভোগ করতে দেওয়া হয় না। আমার সিদ্ধান্তের জন্য কখনই আক্ষেপ করব না। মাঠে সিদ্ধান্ত জানানোর পর আইসিসি আমার প্রশংসাই করেছে।” একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নিয়মের কথা উল্লেখ করে ধর্মসেনা বলেন, “যেহেতু আউট হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি, সেহেতু ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার কোনও উপায় ছিল না। আইসিসি-তে এমন কোনও নিয়ম নেই। সে কারণে আমি লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে কথাও বলেছি। প্রযুক্তিগত সেই কথোপকথন শুনেছেন ম্যাচের দায়িত্বে থাকা বাকি আম্পায়াররাও। এমনকি ম্যাচ রেফারিও শুনতে পেয়েছেন। ওই সময়ে যেহেতু টেলিভিশিন রিপ্লে নেওয়ার উপায় ছিল না, তাঁরা সবাই আমাকে জানায় ব্যাটসম্যান রান সম্পূর্ণ করেছে। তারপরই আমি সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।”





এখানেই শেষ নয়, ওমন হাইভোল্টেজ ম্যাচে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যে একেবারেই সহজ হয় না, সেকথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। ১৮০-র ওপর আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ধর্মসেনা বলছেন, “আমাদের একসঙ্গে অনেক কিছুর ওপর নজর রাখতে হয়। ব্যাটসম্যান প্রথম রান সম্পূর্ণ করল কিনা, ফিল্ডিংয়ের সময় ফিল্ডার কোন দিকে থ্রো করছে, তার মধ্যে দ্বিতীয় রান সম্পূর্ণ হল কিনা, এমন একাধিক বিষয়েই একই সময়ে একই সঙ্গে নজরে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে স্টোকস দ্বিতীয় রান সম্পূর্ণ করার সময় বল তাঁর ব্যাটে লেগে বাউন্ডারিতে চলে যায়। আমরা অনুমান করেছিলাম, বল থ্রো করার আগেই ব্যাটসম্যানরা একে অপরকে ক্রস করেছেন।”


প্রসঙ্গত, ধর্মসেনার এই সিদ্ধান্তই বিশ্বকাপের ফাইনালে  ‘নির্ণায়ক’ ভূমিকা পালন করে। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের স্কোর টাই হয়। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও টাই হওয়ায় বাউন্ডারির নিরিখে জয়ী ঘোষণা করা হয় ইংল্যান্ডকে।