কুন্তল চক্রবর্তী: দুই দশক আগের কথা। বিহারের প্রশিক্ষণ শিবির চলছিল জামশেদপুরের কীনান স্টেডিয়ামে। বিহারের রঞ্জি ট্রফি দল তখন খুব খারাপ ক্রিকেট খেলছে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাটে রান নেই। একেবারে এলোমেলো অবস্থা দলটার।


বিহারের কোচ ঠিক করলেন ক্রিকেট জানেন একজন মনোবিদকে নিয়ে এসে ক্লাস করাবেন ক্রিকেটারদের জন্য। নিয়ে আসা হল রাজীব নায়ারকে। রাজীব এসে খুঁটিনাটি জানলেন। দিনচারেক ক্লাস হল। আর ক্লাস শেষে ক্রিকেটারদের ডেকে মনোবিদ জিজ্ঞাসা করলেন, "তাহলে এবার তোমরা বলো যে তোমাদের স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য কী কী?"


সবাই কিছু না কিছু বলতে শুরু করল। কেউ কেউ এমনও বলল আগামী ৫ বছরে বিহারকে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করতে চায়। দু-একজন ক্রিকেটার ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোই দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য বলে জানাল।


কিন্তু, একজনের উত্তর সবাইকে চমকে দিয়েছিল। এমএস ধোনি নামের বছর উনিশের একটা ছেলেকে সবাই বলতে শুনল, "আমি শেষ বলে ছক্কা মেরে দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিতে চাই।" শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন মনোবিদ। দলের অন্যরাও ভেবেছিলেন, কী বলছে ছেলেটা!


বিশ্বকাপের শেষ বলে ছক্কা না মারলেও, অবশ্যই ছক্কা মেরে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন ধোনি। এই ঘটনার ১১ বছর পর।


গত বছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ চলার সময় এই গল্পটাই আমাদের শুনিয়েছিলেন সেই সময়কার বিহারের অধিনায়ক সুমিত পণ্ডা। ধোনি এরকমই। কেউ যখন চাঁদে পা রাখার কথা ভাবে, তখন হয়ত ধোনির নজর মঙ্গলগ্রহের দিকে।