জোহানেসবার্গ: জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সের পিচ ঘিরে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। টেস্টের তৃতীয় দিনে অসমান বাউন্সের কারণে খেলা থামিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, খেলা বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে তাঁর কখনওই উদ্বেগ ছিল না। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারত খেলা চালিয়ে চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই ছিল। তাই বাকি সিদ্ধান্তটা আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপরই নির্ভর করছিল।
উল্লেখ্য, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে টেস্টে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচজুড়েই ছিল পিচ ঘিরে শোরগোল। অসমান বাউন্স, বল আচমকা বাঁক নেওয়ার কারণে পিচ ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা অবশ্য বলেছেন, পিচ বিপজ্জনক নয়। তবে এখানে ব্যাট করা কঠিন। আর পরিস্থিতি তো দুদলের পক্ষেই সমান।
তৃতীয় দিনের শেষের দিকে জসপ্রিত বুমরার একটি লাফিয়ে ওঠা বল ডিন এলগারের হেলমেটে লাগার পর ম্যাচ আধিকারিকরা নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা থামিয়ে দেন। সেই সময় ম্যাচ ঘিরে সংশয় তৈরি হয়েছে। দুই দল ও ম্যাচ আধিকারিকদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোহলি বলেছেন, ম্যাচ রেফারির ঘরে কী আলোচনা হল, তার বিস্তারিত তিনি বলবেন না। তবে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার ভাবনা তাঁর মাথাতে একবারের জন্যও আসেনি।
জোহানেসবার্গ টেস্টে জয়ের পর কোহলি বলেছেন, এখানে আমরা দুটো ইনিংস খেলেছি। আমাদের ব্যাটসম্যানদের শরীরেও অনেকবার বল লেগেছে।কিন্তু আমরা এই নিয়ে হৈচৈ করিনি। আমরা খেলা চালিয়ে গিয়েছি। আমরা জানতাম যে, বল লাগবে।কিন্তু দৃঢ়তা দেখাতে হবে।
কোহলি সাফ জানিয়েছেন, তাঁর দল সবসময়ই খেলতে রাজি ছিল। সিদ্ধান্ত নির্ভর করছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর।
ভারতের অধিনায়ক বলেছেন, খেলতে নেমে কোনওভাবেই বলা যায় না, এটা কঠিন। আমরা ভারতে নয়, জোহানেসবার্গে খেলছি। পরিস্থিতি যেমনই থাক, আমাদের খেলতে হত। আর আমরা ভালো খেলেছি।
কোহলি বলেছেন, আমার কোনও উদ্বেগ ছিল না। কারণ, বল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কোর্টে। ওদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হত। আমরা খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত চারদিনে এই সিদ্ধান্তের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
কোহলি মনে করছেন, এই পিচে সুবিধা পেয়েছে ভারত। কোন ট্রাকে খেলা হচ্ছে তা নিয়ে আমরা কখনওই অভিযোগ করিনি। আমরা জানতাম, দু দলের সমান সুযোগ রয়েছে। আমরা চ্যালেঞ্জটা কাজে লাগিয়েছি। এ ধরনের পিচে ম্যাচ জেতাটা তৃপ্তিদায়ক।