ডাবলিন: ভারতীয় ক্রিকেট দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন যশপ্রীত বুমরা। ৩২৭ দিন পরে ২২ গজে চোট সারিয়ে ফিরে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবেও দলকে জিতিয়েছেন। এমনকী নিজের ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও একেবারেই নার্ভাস ছিলেন না ডানহাতি পেসার। অস্ত্রোপচারের পর ফিরে এসেছেন ক্রিকেটে ফের। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে ২৪ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট ঝুলিতে পুরে নিয়েছেন বুমরা। বলছেন, ''প্রত্য়াবর্তনে আমি খুবই খুশি। আমি কোনও সময়ই নার্ভাস ছিলাম না। বরঞ্চ বেজায় খুশি কামব্যাক করতে পেরে। আর সবচেয়ে বড় কথা যখন নেতৃত্ব দিতে হয় দলের, তখন গোটা দলকে নিয়ে ভাবতে হয়। শুধু নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবলে হয় না।''


২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই পিঠের চোটের জন্য ছিটকে যেতে হয়েছিল বুমরাকে। গত এক বছরের যাত্রাপথটা কেমন ছিল? তারকা ডানহাতি পেসার বলছেন, ''এনসিএতে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। কখনওই হাল ছেড়ে দেইনি। পরিশ্রম করছিলাম ভীষণভাবে। সেখানকার স্টাফদের অনেকটা কৃতিত্ব প্রাপ্য। তাঁরা আমার জন্য অনেকটা সময় দিয়েছেন। আমাকে ফিট হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন।


উল্লেখ্য, আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতীয় বোলাররা দাপট দেখালেন। একটা সময় ১০.৩ ওভারে মাত্র ৫৯ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসেছিল আয়ার্ল্যান্ড। তবে পাল্টা লড়াই করলেন আইরিশরাও। যখন মনে হচ্ছিল, একশোও তুলতে পারবে না আয়ার্ল্যান্ড, তখনই প্রত্যাঘাত কার্টিস ক্যাম্পহার ও ব্যারি ম্যাকার্থির। সপ্তম উইকেটে দুজনে ৪৪ বলে ৫৭ রান যোগ করে ভারতীয় শিবিরকে চাপে রাখলেন। ৩৩ বলে ৩৯ রান করলেন ক্যাম্পহার। তবে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ম্যাকার্থি। ৩৩ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম হাফসেঞ্চুরি তাঁর। 


অর্শদীপ সিংহের শেষ ওভারে জোড়া ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মারলেন ম্যাকার্থি। প্রথমে ব্যাট করে আয়ার্ল্যান্ড তোলে ১৩৯/৭। ম্যাচ জিততে ১৪০ রান তুলতে হতো ভারতকে। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা সতর্কভাবে করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। মেঘলা আবহাওয়া ও হিমেল হাওয়ায় তখন বেশ ভাল বোলিং করছিলেন আইরিশ বোলাররা। ৪ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ২২ রান। তবে এরপরই হাত খোলেন যশস্বী ও রুতুরাজ। পরের ২ ওভারে ২৩ রান যোগ করেন দুজনে। তবে ক্রেগ ইয়ংয়ের এক ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। পরপর ২ বলে ফিরে যান যশস্বী (২৪ রান) ও তিলক বর্মা (০)। ৬.৫ ওভারে ভারতের রান ৪৭/২, তখনই বৃষ্টি নামে। খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচ আর শুরু করা যায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ভারতকে ২ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়।