নয়াদিল্লি: এমন কোনও ব্যাটসম্যান বোধহয় পাওয়া যাবে না, যাঁর মধ্য গগনে থাকা ওয়াসিম আক্রামকে খেলতে গিয়ে অন্তত একবারও বুক দুরু দুরু করেনি। তাঁর নামই ছিল ‘স্যুইং-এর সুলতান’। নাকানি চোবানি খাওয়াতেন তাঁর সমসাময়িক সেরা ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু বিশ্বাস করতে পারবেন কি এটা শুনে যে, সেই আক্রাম পর্যন্ত বিরাট কোহলিকে ভয় পাচ্ছেন! টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলিয়ে ৪০০-র বেশি উইকেটের মালিক বাঁ-হাতি আক্রাম স্বীকার করছেন, কোহলি যে বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছেন, তাতে তাঁকে বল করতে হলে তাঁরই বুক কাঁপত! গতি আর মুভমেন্টের মিশেলে মরা পিচেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারতেন আক্রাম। কিন্তু কোহলিকে দেখে তিনি বলছেন, ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক যে ব্যাকরণ মেনে চলা টেকনিকে খেলে বড় হয়েছেন, গভীর আত্মবিশ্বাসের ছাপ দেখাচ্ছেন, তাতে তাঁকে আউট করা সত্যিই দুঃসাধ্য।


 

আইপিএল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে চলতি মরসুমে ৯১৯ রান করে ফেলেছেন বিরাট। স্ট্রাইক রেট ১৫১-র বেশি। চারটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ড তৈরি করেছেন। গড় ৮৩.৫৪। এহেন কিংবদন্তী হতে চলা বিরাটকে সুপারম্যান ভাবতে দ্বিধা নেই আক্রামের। তিনি একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন, নিজের ওপর অগাধ বিশ্বাস, নিজের ক্ষমতা, সর্বোপরি টেকনিক—সব মিলিয়ে সেরা বিরাট। ওকে রিভার্স শট বা ল্যাপ শট খেলতে দেখা যায় না। সব সময় ব্যাকরণের দিক থেকে সঠিক শট মারে, ব্যাটের মাঝখান দিয়ে খেলে। সেজন্যই ওর এমন ধারাবাহিকতা। আমায় যদি ওকে বল করতে হোত, আমি চিন্তায় পড়ে যেতাম। একদিনের ম্যাচে যেমন ইনিংস ওপেন করা সচিন তেন্ডুলকরকে বল করা খুব কঠিন ছিল। কেননা সচিন, বিরাট-এরা ব্যাট হাতে নামলে বোলারকে সুযোগই দেবে না।

কোহলির সঙ্গে নিজের তুলনা করে আক্রাম বলেছেন, কোহলি এই আইপিএলে ৩৬টি ছক্কা মেরেছে। আমার গোটা ক্রিকেট কেরিয়ারে ৫০টার বেশি ছক্কা রয়েছে। আর সে সময় ছক্কা মারা বিরল ব্যাপার ছিল। সুতরাং নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ও কতটা শক্তিশালী। স্টেডিয়ামের বাইরে বল পাঠিয়ে দেয়। ওকে খেলতে দেখা সত্যিই সুখের।