দুবাই: করোনার ধাক্কায় আইপিএল স্থগিত হয়ে গিয়েছে। তারপরই অক্টোবরে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে৷ শেষ পর্যন্ত ভারতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে, নাকি তা অন্য়ত্র স্থানান্তরিত হবে, তা ঠিক করতে আগামী ১ জুন আইসিসি-র এগজিকিউটিভ বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেদিনই ঠিক হয়ে যেতে পারে যে, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কোথায় আয়োজিত হবে৷
তবে ভারতীয় বোর্ড সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে যদি টুর্নামেন্ট অন্য কোনও দেশেও স্থানান্তরিত হয়, সেক্ষেত্রেও আয়োজক হিসাবে সমস্ত স্বত্ব পেতে পারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের বিসিসিআই-ই। বলা হচ্ছে, সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের ওপর জঙ্গি হামলার পর ২০১১ সালে বিশ্বকাপ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে আয়োজক দেশ হিসাবে নিজেদের স্বত্ব ধরে রেখেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত৷ সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে৷ এই অবস্থায় বছরের শেষে অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন অনেকে৷ ১ জুন আইসিসি-র এগজিকিউটিভ বোর্ড মিটিংয়ে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷ এর আগে অবশ্য ২৯ মে বিশেষ সাধারণ সভা ডেকেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড৷ অর্থাৎ আইসিসি-র সভায় দু’ দিন আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে ফেলতে চান বোর্ড কর্তারা৷
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য মোটামুটি ন’টি কেন্দ্র বাছাই করে রেখেছে বোর্ড। কিন্তু বাধ সেধেছে করোনা৷ জৈব সুরক্ষা বলয়ে ক্রিকেটারদের রেখেও আইপিএল আয়োজন করতে না পারায় বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে৷ আইপিএল থেকে দেশে ফিরে প্রাক্তন অজি ব্যাটসম্যান মাইক হাসি বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়া খুব কঠিন৷
ভারতীয় বোর্ডেরই এক কর্তা বলেছেন, ‘ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির ব্যাপারে আইসিসি অবগত। তবে ১ জুনে সভার আগে কী হবে না হবে, তা ভেবে কোনও লাভ নেই। আমাদের সকলকেই আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।’ ভারত টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে না পারলে বিকল্প হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি উঠে আসতে পারে। তবে মরুশহরে বিশ্বকাপ আয়োজিত হলেও তার স্বত্ব থাকবে বিসিসিআই-এর হাতেই৷ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা ১৮ অক্টোবর৷ আর শেষ হবে ১৫ নভেম্বর৷