নিউ দিল্লি : ২৬-২৭ মে-র মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তাই পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগে থেকেই ময়দানে নেমে পড়ল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় টিম মোতায়েন করতে শুরু করেছে NDRF।
NDRF-এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় তওতে-র প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম উপকূলের রাজ্যগুলিতে উদ্ধারকাজে গিয়েছে কয়েকটি দল। তাদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছে।
NDRF-এর ডিরেক্টর জেনারেল এস এন প্রধান টুইট করে জানিয়েছেন, এই দুই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর সম্ভাব্য প্রভাবের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার দলগুলিকে এয়ারলিফ্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহিনী।
তবে কত সংখ্যক টিম মোতায়েন করা হবে তা নির্ভর করছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্যের উপর। জানিয়েছেন সংস্থার আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, তওতে-র জন্য উপকূলবর্তী গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও গোয়ায় ১০১ টি দল মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া পশ্চিম উপকূলের কিছু জায়গায় ছিল বাহিনী। সোমবার রাতে গুজরাতের গির সোমনাথ জেলার উনা শহরে আছড়ে পড়ে তওতে। এরপর প্রায় ২৮ ঘণ্টা তাণ্ডব চালায়। শেষে এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়।
ইয়াস প্রসঙ্গে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ২২ মে উত্তর আন্দামান সমুদ্র ও সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ধীরে ধীরে এটা শক্তি বাড়িয়ে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। উত্তর-পশ্চিম দিক হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে পৌঁছাবে ২৬ মে সন্ধ্যায়।
নির্ধারিত প্রোটোকল মেনে ইয়াস-এর নামকরণ করেছে ওমান। তওতে-র নাম মায়নমারের দেওয়া।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক NDRF টিমে ৪৭ জন সদস্য থাকেন। যাঁদের কাছে থাকে গাছ ও খুঁটি কাটার যন্ত্র, যোগোযোগের জন্য গ্যাজেট, ফোলানো যায় এমন নৌকা এবং প্রাথমিক ওষুধপত্র। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য তাঁদের কমলা রঙের পোশাক দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে পুরো শরীর ঢেকে সুরক্ষিত রাখা যাবে এবং এতে থাকছে ফেশ শিল্ড।
NDRF-এর তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, বাহিনীর অধিকাংশ সদস্যকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।