বার্মিংহাম:  আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মহারণ। মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা। স্নায়ুর চাপ। এদিন মর্যাদার লড়াইয়ে নামার আগে ইতিহাস কিন্তু বিরাট কোহলি বাহিনীর পক্ষেই। শেষবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৫-তে বিশ্বকাপে। দু বছর পর ফের একদিনের ক্রিকেটে তাল ঠুকবে দুই দেশ।
বিশ্বকাপে ভারত এখনও পাকিস্তানের কাছে অপরাজিত। ৬ বারই পাকিস্তানকে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।  তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটু এগিয়ে পাকিস্তান। একবার জিতেছে ভারত। দুইবার পাকিস্তান।
২০০৪-এ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। এই এজবাস্টনেই।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর শেষ তিনটি ম্যাচের ফলাফল-
২০১৫-র বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে ২০১৫-র বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত পুল-বি-র ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মিসবা উল হকের পাকিস্তানের। ধোনি টসে জিতে ব্যাটিং নেন। অ্যাডিলেডের ভিড়ে ঠাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ভারত করে ৭ উইকেটে ৩০০ রান। কোহলি ১২৬ বলে ১০৭ রান, শিখর ধবন ৭৬ বলে ৭৩ এবং সুরেশ রায়না ৫৬ বলে ৭৪ রান করেন। পাকিস্তানের সোহোল খান ৫৫ রানে ৫ উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মহম্মদ শামির আগুনে বোলিংয়ে(৩৫ রানে ৪ উইকেট) পাকিস্তান ব্যাকফুটে চলে যায়। উমেশ যাদব নেন ২ উইকেট। ৭৬ রানে ম্যাচ জেতে ভারত।
এশিয়া কাপ ২০১৪: মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। ফাইনালে যাওয়ার মরণ-বাঁচন ম্যাচে বাংলাদেশের মীরপুরে টসে জিতে কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতকে ব্যাটিং করতে পাঠায় পাকিস্তান। রোহিত শর্মার ৫৬, অম্বাতি রায়ডুর ৬২ বলে ৫৮ এবং রবীন্দ্র জাদেজার ৪৯ বলে ৫২ রানের সুবাদে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে করে ২৪৫ রান। পাকিস্তানের  শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১০ রান দরকার ছিল। কোহলি বল করতে ডাকেন অশ্বিনকে। প্রথম বলেই সইদ আজমলকে ০ রানে আউট করেন অশ্বিন। ক্রিজে আসেন জুনেইদ খান। অশ্বিনের ওভারের দ্বিতীয় বলে একরান নেন তিনি। ৪ বলে ৯ রান প্রয়োজন পাকিস্তান। স্ট্রাইকিং প্রান্তে পাকিস্তানের বহুযুদ্ধের নায়ক শাহিদ আফ্রিদি। তিনি পর পর দুটি ছয় মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৩: এজবাস্টনেই হয়েছিল এই ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। অন্যদিকে, গ্রুপের দুটি ম্যাচে হেরে মর্যাদার লড়াইতে নেমেছিল পাকিস্তান।
টসে জিতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত মিসবার পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায়। নাসির জামসেদ ও মহম্মদ হাফিজকে শুরুতেই আউট করেন ভূবনেশ্বর কুমার। এরপরে বৃষ্টির জন্য খেলায় ব্যাঘাত ঘটে। ফের খেলা শুরু হয়। কমে যায় ওভার সংখ্যা। ৪০ ওভারের ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের দাপটে ১৬৫ বেশি রান করতে পারেনি পাকিস্তান।
ফের বৃষ্টির জন্য ভারতের জয়ের লক্ষ্য  দাঁড়ায় ২২ ওভারে  ১০২ রান। দুই ওপেনার শিখর ধবন (১৮) ও রোহিত শর্মা (৪৮) দাপটে ব্যাটিং করেন। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫৮ রান। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন কোহলি ও দীনেশ কার্তিক।