এডিনবরা: এখনই টেস্টে দুটি পৃথক ডিভিশন বা একদিনের ক্রিকেটে নতুন লিগ চালু হচ্ছে না। সামান্য বদল আনা হল লেগ বিফোর উইকেটের আবেদনের ক্ষেত্রে ‘ডিআরএস’ নিয়মে। সদ্য সমাপ্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হল।

টেস্টের ভবিষ্যৎকে সুনিশ্চিত এবং ক্রিকেটের শৈল্পিকতাকে পুনরুজ্জীবিত করতে লিগ চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিল আইসিসি-র ক্রিকেট কমিটি। প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, টেস্ট ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ফুটবলের মতো দুটি পৃথক ডিভিশন চালু করা হোক, যেথানে থাকবে প্রোমোশন এবং রেলিগেশন প্রথা।

কিন্তু, বাংলাদেশের মতো ছোট টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলি বেঁকে বসে। তাঁদের আশঙ্কা, এই পদ্ধতি হলে তারা পাকাপাকিভাবে দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যাবে। মূলত, তাদের আপত্তিতেই বিষয়চিকে মুলতুবি করেছে আইসিসি বলে জানা গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে এই বিষয়ে দুবাইতে আইসিসি-র সদর দফতরে একটি কর্মশালা হবে। একইভাবে, আপাতত মুলতুবি করা হয়েছে একদিনের ক্রিকেটে নতুন লিগ চালু করার বিষয়টিও।



তবে, এই বৈঠকে এলবিডব্লু নিয়ে একটি জটিল সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা চালানো হয়েছে। চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের নেতৃত্বে যে বৈঠক বসেছিল, সেখানে ডিশিসন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) পদ্ধতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় কিছু সামান্য রদবদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়। শনিবার সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আইসিসি।

এতদিন, অন-ফিল্ড আম্পায়ারের নট-আউট সিদ্ধান্তকে পাল্টে ডিআরএস নিয়মে আউট দিতে গেলে তৃতীয় আম্পায়ারের সামনে যে মাণদণ্ড রাখা হত, তাতে অফ-স্টাম্পের মাঝ বরাবর অংশ থেকে লেগ-স্টাম্পের মাঝ বরাবর অংশ পর্যন্ত এলাকার মধ্যে (জোনে) বলের অর্ধেক অংশ থাকতে হবে।

নতুন নিয়মানুসারে, ওই জোনের পরিধি সামান্য বাড়ানো হয়েছে। এবার থেকে বলের অর্ধেক অংশ অফ-স্টাম্পের একেবারে ধার থেকে শুরু হয়ে লেগ-স্টাম্পের ধার পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, বোলারদের সামান্য সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে।

পাশাপাশি, তৃতীয় আম্পায়ার নো-বল ডাকতে পারেন কি না সেই নিয়েও অদূর ভবিষ্যতে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানো হতে পারে। আইসিসি জানিয়েছে, আসন্ন কোনও একদিনের সিরিজে এই পরীক্ষা চালানো হবে। সেখানে, বল করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইনস্ট্যান্ট রিপ্লে দেখে নো-বলের সিদ্ধান্ত ফিল্ড আম্পায়ারকে দেবেন তৃতীয় আম্পায়ার।

অন্যদিকে, ২০২২ সালের ডারবান কমনওয়েলথ গেমসে মহিলা ক্রিকেটকেও অন্তর্ভুক্ত করা এবং অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে নীতিগত সমর্থন জানিয়েছে আইসিসি।