দুবাই: জুন মাসের আইসিসি ওমেন্স প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ- এর জন্য মনোনীত হলেন শেফালি ভার্মা ও স্নেহ রানা। ২ জনেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসছেন ১৭ বছরের শেফালি। ওপেনিংয়ে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। স্নেহ রানার ব্যাটিংয়ের ওপর নির্ভর করেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। এই ২ জন ছাড়াও মনোনীত হয়েছেন ইংল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার সোফি একলেস্টোন।
১৭ বছরের শেফালি ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে প্রত্যেকের নজর কেড়েছেন। কিন্তু ইল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেকে দীর্ঘতম ফর্ম্যাটেও নজর কেড়েছিলেন। ব্রিস্টলে টেস্টে ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছিলেন শেফালি। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার ও বিশ্বের চতুর্থ মহিলা ক্রিকেটার যিনি টেস্ট অভিষেকে ২ ইনিংসেই অর্ধশতরান হাঁকান। অভিষেক টেস্টে শেফালি ৯৬ ও ৬৩ রান করেছিলেন।
প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য নিজের অর্ধশতরান মিস করেছিলেন শেফালি। যা ভারতীয় অভিষেকে মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বাধিক। ওয়ান ডে সিরিজেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল শেফালির।
অলরাউন্ডার রানাও তাঁর টেস্ট অভিষেক করেন ব্রিস্টলে। ১৫৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ভারত ফলো অনের মুখে পড়লেও রানার ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকাই টেস্ট ম্যাচে ভারতকে ড্র করতে সাহায্য করে। বল হাতেও ১৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন শেফালি।
ছেলেদের তালিকায় যে ৩ জনকে মনোনীত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে, কাইল জেমিসন ও দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। লর্ডসে জুন মাসে অভিষেক টেস্টেই দ্বিশতরান হাঁকিয়েছিলেন কনওয়ে। পরের দুটো টেস্টে অর্ধশতরান করেছিলেন।
ডি কক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন। প্রথম টেস্টে অপরাজিত ১৪১ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে করেছিলেন ৯৬ রান।
জেমিসন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। বল হাতে একাই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছিলেন দীর্ঘকায় এই অলরাউন্ডার। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে দুই ইনিংসেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান জেমিসন।