দুবাই: ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে তো অবশ্যই, এমনকী বিশ্ব ক্রিকেটেও অন্যতম সেরা অধিনায়কের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এখনও মাহি ম্যানিয়ায় আচ্ছন্ন সবাই। বুধবার চল্লিশ পেরিয়ে একচল্লিশে পা রাখলেন।


মাহির জন্মদিনে আইসিসির তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে শুরুতে রয়েছে ২০০৭ সালে ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত। শেষ ওভারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে যোগীন্দর শর্মাকে বল করতে দিয়েছিলেন তৎকালীন তরুণ অধিনায়ক ধোনি। ওভারের প্রতি বলের শেষেই উইকেটর পেছন থেকে দৌড়ে এসে যোগীন্দরকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন এমএসডি। মিসবা সেই ওভারে একটি ছক্কা হাঁকালেও শ্রীসন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। পাকিস্তানও হেরে যায়, আর ভারত ইতিহাস গড়ে ধোনির অধিনায়কত্বে।


 






 


ভিডিওটিতে ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জয়ের মুহূর্ত রয়েছে। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ম্যাচ ম্যাচ জয়ের মুহূর্ত রয়েছে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিখ্যাত ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ, যেখানে প্রায় হেরে যাওয়ার ম্যাচ নিজের বরফশীতল মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়ে জয় এনে দিয়েছিলেন ধোনি। উইকেটের পেছন থেকে দ্রুত দৌড়ে এসে রান আউট করেছিলেন সেই ম্যাচে। ভিডওয় দেখা মিলবে ২০১১ বিশ্বকাপের ম্যাচ, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচের ক্লিপিংস। ২০১১ বিশ্বকাপে ধোনির সেই গগণচুম্বি ছক্কা হাঁকিয়ে দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার স্মৃতি আজও টাটকা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। সেই ক্লিপংসও তুলে ধরা হয়েছে আইসিসির ভিডিওতে।


২০০৮ ও ২০০৯ সালে আইসিসি ওয়ান ডে প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সফল অধিনায়ক মানা হয় মহেন্দ্র ধোনিকে। বিশ্বের তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে অধিনায়ক হিসেবে ১০০ ম্যাচ জিতেছেন তিনি।


আইসিসি ধোনির পরিসংখ্যাণও তুলে ধরেছে তাঁদের ট্যুইটারে। সেখানে নিজের অধিনায়কত্বে যে যে টুর্নামেন্ট জিতেছেন ক্যাপ্টেন কুল সেই ট্রফি হাতে ধোনির ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে মোট ১৭ হাজার ২৩৩ রান করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।