দুবাই: টি-২০ বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া। সুপার-১২ এর এই ম্যাচে এদিন টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। কিন্তু অজিদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৭৩ রানেই গুটিয়ে গেল মাহমুদুল্লাহরা। মাত্র ১৫ ওভারেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। 


ম্যাচের প্রথম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্কের তৃতীয় বলে বোল্ড আউট হন লিটন দাস। বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন মহম্মদ নঈম ও লিটন। দ্বিতীয় ওভারে হ্যাজেলউডের শেষ বলে সৌম্য সরকারের উইকেট খোওয়ায় বাংলাদেশ। ৮ বলে ৫ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে ২ বলে ১ রান করে এলবিডব্লিউ হন বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।


এদিন অজিদের রুদ্ধশ্বাস বোলিং ঝড়ে কার্যত দিশেহারা দেখায় মাহমুদুল্লাহের দলকে। খেলা শুরুর তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তাঁরা। এর পর মহম্মদ নঈম ও ক্যাপ্টেন মাহমুদুল্লাহ নামলেও ১০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে টাইগারদের স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৫৮ রান। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন নইম। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ১৯ রান করেছেন শামিম। গোটা ইনিংসের সর্বোচ্চ রান তাঁরই। 



এরপর ১২.২ ওভারে স্টার্কের বলে আউট হন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ১৮ বলে ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর তাস্কিন, মুস্তাফিজুর, শরিফুল মাঠে নামলেও ব্যাটে ঝলক দেখা যায়নি। বরং স্টার্ক, ফিঞ্চ, জাম্পা, ম্যাক্সওয়েলদের দুরন্ত বোলিংয়ে ৫ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার অ্যাডাম জাম্পা। ৪ ওভার বল করে ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। স্টার্ক-হ্যাজেলউড পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।


এই ম্যাচে জিতলে অ্যারন ফিঞ্চরা ৬ পয়েন্টে পৌঁছে যাবেন। এই গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে কার্যত সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে। তাই বাংলাদেশকে হারিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরতে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাটে ঝড় তুলতে চাইবেন অজিরা। বাংলাদেশ কি পারবে বোলিং অস্ত্রে অস্ট্রেলিয়দের চুরমার করতে? প্রতীক্ষায় অনুরাগীরা।