রাজা চট্টোপাধ্যায়,  জলপাইগুড়ি : দেবী চৌধুরানী (Devi Chowdhurani) বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করতেন। মন্দিরের গর্ভগৃহেই রাখা হত লুঠ করে আনা সামগ্রী। জলপাইগুড়ির এই মন্দির ঘিরে নানা ইতিহাস আর জনশ্রুতি। 


বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই ভবানী পাঠক! দেবী চৌধুরানির শ্মশানকালীর মন্দির! চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রাম! গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে করোলা নদী!

আরও পড়ুন :


কালীপুজোর পুণ্যতিথিতে জানুন বীরভূমের নলাটেশ্বরী সতীপীঠ নিয়ে ১০ টি তথ্য




তারই মাঝে, জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল। 


দেবী চৌধুরানীর সময় থেকেই এই বিগ্রহের আরাধনা হয়ে আসছে। এখানে, দেবীর দুটি হাত। প্রত্যেক অমাবস্যাতেই এখানে শ্মশানকালীর পুজো হয়। কালীপুজোয় এখানে এখনও বলি প্রথার প্রচলন রয়েছে। মায়ের ভোগে থাকে, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, শাক ভাজা, শোল মাছ, পায়েস চাটনি ও মিষ্টি!!


করোনাকালে, এবারও পাঁচ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিলি করা হচ্ছে না ভোগও!


শারদোত্সবের পর ফের উত্সবের আমেজ। কালীপুজোয় জেলায় জেলায় চলছে পুজো অর্চনা। শুভ শক্তির হাতে অশুভ শক্তির পরাজয়ের পুজো৷ মঙ্গলারতি দিয়ে শ্যামার আরাধনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মন্দিরে। আলোর উৎসবে ভাসছে জেলা ও কলকাতা। করোনা আবহেও দীপাবলির আনন্দ শহর থেকে জেলায়।


শুভ শক্তির হাতে অশুভ শক্তির পরাজয়৷ অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণ। যুগ যুগ ধরে পুরাণ বা ধর্মগ্রন্থ বলে আসছে এমনই বোধের কথা৷ কার্তিক অমাবস্যা তিথিতে দেবী কালীর পুজো সেই বোধেরই মূর্তরূপ৷ যোগিনীকটি পরিবৃতা হয়ে আবির্ভূতা হন মা কালী৷ জগতে কল্যাণ এবং শান্তিস্থাপনের জন্য ভক্তরা দেবীর আরাধনা করেন৷ সঙ্গে আলোর উত্সব৷



গুপ্তপ্রেশ মতে,  আজ অমাবস্যা তিথি শুরু হয়েছে  বুধবার (৩ নভেম্বর, ১৬ কার্তিক) শেষ রাত থেকে।  ৫টা ২১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে পড়ে গেছে অমাবস্যা তিথি। ১৭ কার্তিক, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) - এ রাত ৩টে ২২ মিনিট ১০ সেকেন্ডে। ৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবারই অমাবস্যার নিশি পালন। যাঁরা ব্রত রাখেন বা উপবাস করেন, তাঁরাও আজই উপবাস রাখবেন। পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে একেবারে রাতে উপবাস ভাঙবেন।  শ্রী শ্রী লক্ষ্মী ও অলক্ষ্মী পূজা, শ্রী শ্রী শ্যামাপূজা ও তারাদেবীর আবির্ভাব ।