তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: জেলার কালীক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়ার (Bankura) প্রাচীন পুরশহর সোনামুখী (Sonamukhi)। এখানে ছোটো-বড় মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো কালীপুজো হয়। কালীপুজোকে (Kali Puja) কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে ওঠে এই সোনামুখী শহর। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত সহ অন্যান্য জেলা থেকেও প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। তাই কালীপুজোকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উদ্যোগী হয়েছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ প্রশাসন।


আর করোনা আবহে (Corona Situation) সেই সচেতনতার কথা মাথায় রেখে সোনামুখীর ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোর গাইড ম্যাপের শুভ উদ্বোধন করলেন বাঁকুড়া জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে অত্যন্ত সাধুবাদ জানিয়েছেন সোনামুখী পুরসভার (Sonamukhi Municipality) সাধারণ মানুষ। জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান, সোনামুখী থানার আইসি, সোনামুখী পুরসভার প্রশাসক তপনজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।


শারদোত্সবের পর ফের উত্সবের আমেজ। আজ কালীপুজো। শুভ শক্তির হাতে অশুভ শক্তির পরাজয়৷ মঙ্গলারতি দিয়ে শ্যামার আরাধনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মন্দিরে। আলোর উৎসবে ভাসছে কলকাতা। করোনা আবহেও দীপাবলির আনন্দ শহর থেকে জেলায়।


তারাপীঠে সকাল থেকেই শক্তির আরাধনা। সাড়ম্বরে রীতি মেনে পুজো৷ করোনা আবহেও ভক্তদের ভিড় মন্দির চত্বরে। আজ দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তার আগে ভোরে স্নানের পর দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়। দেবী তখন রাজরাজেশ্বরী। সকালে মঙ্গলারতির পর মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। ভোগের শেষে ভৈরবকে স্নান করানো হয় ৮০ কেজি দুধ দিয়ে। দুপুরে মায়ের বিশেষ ভোগ।সন্ধেয় সন্ধ্যারতি। রাতে বিশেষ নিশিপুজোর আয়োজন করা হয়েছে তারাপীঠে তারা মায়ের আরাধনা হয় তন্ত্রমতে। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি৷ দেবীও নিরাশ করেননি৷ মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী।এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারামায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে এটি সিদ্ধ পীঠ হিসেবেও পরিচিত।


আরও পড়ুন: Kali Puja 2021: ৫১ পীঠের শেষ পীঠ, মহাকালী রূপে পুজোর আয়োজন দেবী কঙ্কালীর