আবু ধাবি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) বাংলাদেশের দুঃস্বপ্ন চলছে। মঙ্গলবার আবু ধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৮৪ রানে অল আউট হয়ে গেলেন মাহমুদুল্লাহরা। ম্যাচ জিততে গেলে মাত্র ৮৫ রান করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।


বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করেন মহম্মদ নঈম ও লিটন দাস। চতুর্থ ওভারে নঈমকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন কাগিসো রাবাডা। পরের বলেই সৌম্য সরকারকে (০ রান) এলবিডব্লিউ করে দেন রাবাডা। তারপর থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। লিটন (২৪) ও মেহেদি হাসান (২৫ বলে ২৭ রান) ছাড়া আর কেউই বলার মতো রান পাননি।


দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের গতি সামলাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে এনরিক নোখিয়া ও কাগিসো রাবাডা তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট তাবারেজ শামসি।


এদিকে, মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের একটি ম্যাচে তাঁর দুর্দান্ত ব্য়াটিংয়ের ভিডিও পোস্ট করে যুবরাজ লিখেছেন, ‘ঈশ্বরই নিয়তি ঠিক করে দেন। জনগণের দাবি মেনে আমি আশা করি ফেব্রুয়ারিতে মাঠে ফিরতে পারব। এই অনুভূতির মতো অন্য কিছু হয় না। সবার ভালবাসা ও শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। এটা আমার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলকে সমর্থন করে যান। এটা আমাদের দল। সত্যিকারের সমর্থকরা কঠিন সময়ে সমর্থন করে যাবেন। জয় হিন্দ।’ 


প্রায় আড়াই বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তারপর টি-২০ লিগে খেলতে দেখা গিয়েছে জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংহকে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে ফের মাঠে দেখা যাবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেই এই খবর জানিয়েছেন যুবরাজ।


২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে একদিনের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম তারকা যুবরাজ। টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ৬টি ছক্কা মারেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর সেই ইনিংস ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা। ২০১১ সালে একদিনের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন যুবরাজ। সেই বিশ্বকাপে তিনি ধারাবাহিকভাবে অসাধারণ পারফরম্য়ান্স দেখান। ভারতীয় দলকে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করতে তিনি বড় ভূমিকা নেন।