আবু ধাবি: মরণ-বাঁচন ম্যাচ। জয় ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। চাপে অধিনায়ক, চাপে গোটা দল। আর এই পরিস্থিতিতেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে রানের পাহাড় তৈরি করল টিম ইন্ডিয়া। ওপেনিংয়ে নেমে ১৪০ রানের বিশাল পার্টনারশিপ গড়ে তুললেন রোহিত শর্মা ও কে এল রাহুল। লোয়ার অর্ডারে ঝড় তুললেন হার্দিক পাণ্ড্য ও ঋষভ পন্থ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ২১০ রান তুলে নিল ভারত।
এদিন ফের টস হারলেন বিরাট কোহলি। এই নিটে শেষ ৮ ম্যাচে ৭ বারই টস হারলেন তিনি। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবি। কিন্তু বোলাররা তাঁর সিদ্ধান্তের সম্মান জানাতে পারলেন না। প্রথম ওভারে একমাত্র ৫ রান দিয়েছিলেন নবি নিজে। আর পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে ১ রান খরচ করেছিলেন আফগান বোলার। এছাড়া পুরো ইনিংসেই দাপট দেখালেন ভারতের ওপেনিং জুটি। রোহিত শুরু থেকেই হাত খোলেন। রাহুল একটু সেট হয়ে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। ২ জনে মিলে দ্রুত দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এদিন মুজিব উর রহমানকে খেলায়নি আফগানিস্তান। তাঁর চোট রয়েছে। রশিদ ছিলেন একাদশে। কিন্তু তাঁকেও বেশ নিষ্প্রভ মনে হল এদিন। ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করলেও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি তিনি।
রোহিত আগের ২ ম্যাচে রান পাননি। এদিন ৪৭ বলে ৭৪ রানের ঝোড়া ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান হিটম্যান। ছন্দে ছিলেন রাহুলও। তিনিও নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। ৪৮ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংস রাহুল ৬টি বাউন্ডারি ও ২ টো ছক্কা হাঁকান। তিন নম্বরে এদিন ব্যাট করতে নামেননি বিরাট। তার বদলে আগে পাঠিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য ও ঋষভ পন্থকে। ২ জনের কেউই অধিনায়কের আস্থা ভাঙলেন না। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন হার্দিক। অন্যদিকে ১৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন পন্থ।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ নিযুক্ত হলেন রাহুল দ্রাবিড়