দুবাই: শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি। রানই উঠছিল না বোর্ডে। কিন্তু প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নিয়ে দুরন্ত অর্ধশতরান হাঁকালেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। মূলত তাঁর ব্যাটিংয়ের সুবাদেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান বোর্ডে তুলে নিল নিউজিল্যান্ড। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। নিউজিল্যান্ড শিবিরে এদিন ঢুকে পড়েছিলেন টিম সেইফার্ট। ডেভন কনওয়ের জায়গায় একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন সেইফার্ট। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মার্টিন গাপ্টিল ও ডারিল মিচেল। ইংল্যান্ড ম্য়াচের নায়ক ছিলেন। কিন্তু এদিন রান পেলেন না মিচেল। মাত্র ১১ রান করে ফিরে যান তিনি। জশ হ্যাজেলউড প্রথম আঘাত হানেন অজি শিবিরে। কেন উইলিয়ামসন ক্রিজে আসতেই প্রথমে রানের গতি কমে যায়। গাপ্টিল এদিন নিজের ছায়া হয়েই থেকে গেলেন। ৩৫ বলে ২৮ রান করে ফিরে গেলেন তিনি। 


এরপরই গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন কেন। প্রথম ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল মাত্র ৫৭। কিন্তু সেখান থেকে ব্যাটিংয়ের গিয়ার বদলে ফেলেন। মাত্র ৩৩ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে অর্ধশতরানের ইনিসং। এর আগে ২০০৯ সালে কুমার সঙ্গাকারার ব্যাট থেকে এসেছিল অর্ধশতরানের ইনিংস। ফিলিপস ফিরে গেলেও কেনকে আটকাতে পারেনি অজি বোলাররা। মিচেল স্টার্ককে এক ওভারে ২২ রান দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত যখন থামলেন তখন তাঁর নামের পাশে ৪৮ বলে ৮৫ রান। নিজের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান কিউয়ি অধিনায়ক।  লোয়ার অর্ডারে সেইফার্ট ও নিশাম মিলে দলের স্কোর ১৭২-এ পৌঁছে দেন। অজি বোলারদের মধ্যে ৩ উইকেট নেন হ্যাজেলউড। ১টি উইকেট পান অ্যাডাম জাম্পা। বাকি কোনও বোলারই উইকেট পাননি। 


আরও পড়ুন: ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধানের দায়িত্বে ভিভিএস লক্ষ্মণ