দুবাই: রেকর্ডটা ছিল ১২-০। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ৭-০ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫-০। রবিবার ডাক দেওয়া হয়েছিল ১৩-০ করার। কিন্তু পারলেন না বিরাট কোহলিরা। বিশ্বকাপে প্রথমবার পাকিস্তানের ধাক্কায় চুরমার হয়ে গেল ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে ১০ উইকেটে দুরমুশ করে শাপমোচন ঘটাল পাকিস্তান।


ভারতের ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে ১৩ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল পাকিস্তান। ১৭.৫ ওভারে জয়ের রান তুলে নিল পাকিস্তান। এবং কোনও উইকেট না হারিয়ে। এই প্রথম কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১০ উইকেটে হারল ভারত। পাক অধিনায়ক বাবর আজম ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত রইলেন। ৫৫ বলে অপরাজিত ৭৯ রান করলেন মহম্মদ রিজওয়ান।


যশপ্রীত বুমরা হোক বা মহম্মদ শামি, ভারতীয় বোলারদের কেউই নজর কাড়তে পারেননি। কাউকে দেখেই মনে হয়নি যে, উইকেট নিতে পারেন। বরুণ চক্রবর্তী আইপিএলে বিস্ময় স্পিনার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন। কেকেআর তারকা ৪ ওভারে দিলেন ৩৩ রান।


রবিবার ব্যাট হাতে স্বমহিমায় বিরাট কোহলি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন ভারত অধিনায়ক। ৪৯ বলে ৫৭ রান করে ভারতীয় ইনিংসের ঊনিশতম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে তিনি যখন কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলেন, প্রাথমিক চাপ কাটিয়ে লড়াই করার মতো স্কোর তুলে ফেলেছে ভারত। শেষ পর্যন্ত রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তোলে ১৫১/৭।


 




বল হাতে আগুন ছোটালেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ভারতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই আফ্রিদির চকিতে ভেতরে ঢুকে আসা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় ওভারে ছন্দে থাকা কে এল রাহুলের স্টাম্প ছিটকে দিলেন আফ্রিদি। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৬ রান। একটু পরেই ফিরলেন সূর্যকুমার যাদব। কোনও বিশ্বকাপে যিনি প্রথমবার ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। রোহিত-রাহুলের ব্যর্থতার দিন তাঁর দিকে তাকিয়েছিলেন অনেকে। হতাশ করলেন সূর্য। ১১ রান করে ফিরলেন।