শারজা: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল বাংলাদেশ। গ্রুপ ওয়ানের ম্যাচে তাদের ৫ উইকেটে হারিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। তাদের জয়ের নায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ৪৯ বলে ঝোড়ো ৮০ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। শেষের দিকে ভানুকা রাজাপক্ষে ৩১ বলে ৫৩ রান করলেন। ৭ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের ১৭১ রান তাড়া করে দিল শ্রীলঙ্কা।
একটা সময় তাদের টুর্নামেন্টের মূল পর্বে দেখা যাবে কি না তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের প্রথম ম্যাচে তাদের হারিয়ে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। পরে ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে মূল পর্বে প্রবেশ করতে হয়। সেই বাংলাদেশ মূল পর্বের প্রথম ম্যাচেই আশা তৈরি করেছিল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলেছিল তারা। ওপেনার মহম্মদ নঈম ৫২ বলে করেন ৬২ রান। ৩৭ বলে ঝোড়ো ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
আইপিএলের সময় দেখা গিয়েছিল, শারজার পিচ তুলনামূলকভাবে মন্থর। যেখানে বল পিচে পড়ে ধীর গতিতে ব্য়াটে আসছিল এবং প্রায় সব ম্যাচই লো স্কোরিং হচ্ছিল। রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সাতজন বোলার ব্যবহার করেন তিনি। তবে বাংলাদেশের রান ওঠার গতিতে পুরোপুরি লাগাম পরাতে পারেননি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিরাট কোহলি বলেছিলেন, আইপিএলের চেয়ে অনেক ভাল পিচ দেখার আশা করছেন। দেখা গেল, শারজার উইকেটও আইপিএলের তুলনায় অনেক ভাল। যেখানে ভদ্রস্থ স্কোর তুলল বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত বেশ সহজেই রান তাড়া করে দিল শ্রীলঙ্কা।
এদিকে, টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে যে কোনও সময় ম্যাচের রং পাল্টে যায়। এই ফর্ম্যাটে কোনও দলই ফেভারিট নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও খাতায়-কলমে টিম বিরাটরা এগিয়ে থাকলেও তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কপিল দেব সাবধান করে দিচ্ছেন বিরাট ব্রিগেডকে। এবিপি নিউজের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কপিল বলেন, 'কোন দলের পাল্লা ভারী তা নির্দিষ্ট ম্যাচে মাঠে কোনও প্রভাব ফেলে না। কোন দল সেই মুহূর্তে ম্যাচের চাপ সামলে ভাল পারফর্ম করতে পারবে, তার ওপরই সব নির্ভর করে। এই ম্যাচেও যে দল চাপ সামলে খেলতে পারবে, তারাই জয় হাসিল করে নেবে।'