নয়া দিল্লি : আগামীকালই মেগাস্টার রজনীকান্তকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে। ভারতীয় সিনেমায় বিশাল অবদানের জন্য এই পুরস্কার পেতে চলেছেন তিনি। গত এপ্রিল মাসেই রজনীকান্তকে দাদাসাহেব ফালকে দেওয়ার খবর প্রথম জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য প্রকাশ জাভড়েকর। ডিরেক্টরেট অব ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এই ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
ট্যুইটারে তিনি লিখেছিলেন, 'আমি ভীষণ খুশি হয়ে জানাচ্ছি যে ২০২০ সালের দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন অন্যতম সেরা অভিনেতা রজনীকান্তজি। প্রযোজক, অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার হিসাবে ওঁর অবদান চিরকাল মনে রাখা হবে।' এই পুরস্কার পাওয়া দ্বাদশ ব্যক্তি তিনি।
একই কথা মনে করিয়ে দিয়ে ডিরেক্টরেট অফ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ফ্যানরা রজনীকান্তক ভালবেসে খালাইভা বলেন। তিনি ভারতীয় সিনেমা জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে (৫১তম) পেতে চলেছেন ২৫ অক্টোবর।
২০১৯ সালের দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের কথা গত বছরই ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা অতিমারীর কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। যেমনটা ২০১৯ সালের ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডের ক্ষেত্রে হয়েছিল। সিনেমা জগতে অনন্য সাফল্যের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সিনেমায় সর্বোচ্চ পুরস্কার এটি।
২০১৮ সালে এই পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। ১৯৯১ এর অ্যাকশন ড্রামা 'হাম'-এ একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল অমিতাভ ও রজনীকান্তকে। এর আগে রজনীকান্ত পদ্মবিভূষণ পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে কে বালাচন্দ্রর ছবি দিয়ে অভিনয় কেরিয়ার শুরু রজনীকান্তের। এরপর তামিল ফিল্ম জগতে কেটে গেছে ৪৫টা বছর। অভিনয় করেছেন বলিউডেও।
সম্প্রতি রাজনীতিতে যোগদান নেওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনীকান্তকে ঘিরে। কিন্তু ট্যুইটারে তিনি জানিয়ে দেন, এখন রাজনীতিতে যোগদান করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি নতুন বছরে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন রজনীকান্ত। তাঁর যে ঘোষণার পরই তুমুল সাড়া পড়েছিল তাঁর ভক্তদের মধ্যে। ডিসেম্বরের ৩ তারিখ কার্যত রণংদেহী মেজাজে রাজনৈতিক ভূমিতে নামার অঙ্গিত দিয়ে রজনীকান্ত বলেছিলেন, 'হয় এখন নয়তো কখনোই নয়।'
কিন্তু নতুন বছর আসার আগেই স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যার জেরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল রজনীকান্তকে। যার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি আগের ঘোষণা থেকে একশো আশি ডিগ্রি উল্টোপথে হেঁটে জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন তিনি। স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাকেই যার কারণ হিসেবেও জানিয়েছিলেন রজনীকান্ত।