শারজা: নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তাতেও জয় ছিনিয়ে নিল শ্রীলঙ্কা। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শুক্রবার একপেশে লড়াইয়ে জয় পেল লঙ্কা বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৪ রানেই গুটিয়ে গেল নেদারল্যান্ডস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল শ্রীলঙ্কা। আগামী রবিবার তাঁদের সামনে বাংলাদেশ। 


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লঙ্কা অধিনায়ক দাসুন সনাকা। ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং লাইন আপ। একমাত্র অকারম্যান ছাড়া কেউই দু অঙ্কের ঘরে পৌঁছোতে পারেননি। মাত্র ১০ ওভারে ৪৪ রানেই অল আউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭.১ ওভারেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় লঙ্কা বাহিনী। আগেই এই গ্রুপ থেকে সুপার ১২ তে প্রবেশ করেছিল শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচ জয়ের পর এবার গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে গেল শ্রীলঙ্কা। আগামী রবিবার তাঁদের সামনে বাংলাদেশ। যারা আবার সুপার ১২ তে প্রবেশ করেছে শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে হারানোর পরে। সেক্ষেত্রে আগামী রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একপ্রকার মিনি বিশ্বকাপ। কারণ সেদিনই অন্য ম্যাচে দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। 


গতকাল পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ওপেনিংয়ে নেমে নইম খাতা খুলতে না পারলেও ২৯ রান করেন লিটন দাস। এদিন ব্যাট হাতে রানে ফেরেন শাকিব আল হাসান। ৩৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৩টি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। মুশফিকুর রহিম রান না পেলেও এদিন অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি ৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৮১ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। 


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুর থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে পাপুয়া নিউ গিনি। লোয়ার অর্ডারে কিপলিন ডোরিগা ছাড়া কেউই দু অঙ্কের ঘোরে পৌঁছোতে পারেননি। পাপুয়া নিউ গিনির ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৯,৩ বলে মাত্র ৯৭ রানে। ব্যাটের পর বল হাতেও কামাল দেখান শাকিব। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। ২টো করে উইকেট পান সইফুদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ। ১ উইকেট পান মেহদি হাসান। তবে কোনও উইকেট এদিন পাননি মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন শাকিব আল হাসান।