অ্যাডিলেড: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের স্বপ্নভঙ্গ। গোটা ক্রিকেটবিশ্ব যেখানে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় ছিল, তখন শেষ চার থেকেই বিদায় নিলেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। ইংল্যান্ডের কাছে শুধু পরাজিতই হলেন না, হার এল রীতিমতো লজ্জাজনকভাবে (Ind vs Eng)। ১০ উইকেটে ভারতকে দুরমুশ করে দিল ব্রিটিশরা। মাথা হেঁট করে অ্যাডিলেড ছাড়লেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা।


ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ১৬৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল ভারত। মনে করা হয়েছিল, লড়াই করবেন ভারতের বোলাররা। সেখানে বাস্তবে দেখা গেল, ইংরেজ ব্যাটারদের সামনে আত্মসমর্পণ করলেন ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি, আর অশ্বিনরা। ১৬ ওভারে ভারতের রান পেরিয়ে গেল ইংল্যান্ড। তাও কোনও উইকেট না হারিয়ে। ২৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিয়ে ভারতীয় শিবিরকে মানসিকভাবেও দুমড়ে দিলেন জস বাটলাররা।


রান তাড়া করতে নেমে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন বাটলার। ৪৯ বলে ৮০ রানে অপরাজিত রইলেন ইংরেজ অধিনায়ক। সতীর্থ ওপেনার অ্যালেক্স হেলসও ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। ৪৭ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত রইলেন হেলস। ভুবনেশ্বর কুমার ২ ওভারে ২৫ রান খরচ করেছেন। শামি ৩ ওভারে দিয়েছেন ৩৯ রান। ৩ ওভারে ৩৪ রান খরচ করেছেন হার্দিক পাণ্ড্য। অশ্বিন ২ ওভারে ২৭ রান খরচ করেছেন।


ব্যর্থ বিরাট-হার্দিকের লড়াই


অ্যাডিলেড যে তাঁকে খালি হাতে ফেরায় না, বৃহস্পতিবার ফের একবার তা দেখিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ইংরেজ বোলারদের বিরুদ্ধে (Ind vs Eng) পরপর উইকেট খুইয়ে ভারতীয় শিবির যখন প্রবল চাপে, তখন ব্যাট হাতে প্রত্যাঘাত কিং কোহলির। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪০ বলে করলেন ৫০ রান। তাঁকে সঙ্গত করলেন হার্দিক পাণ্ড্য। ৩৩ বলে ৬৩ রান করলেন বঢোদরার অলরাউন্ডার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তোলে ১৬৮/৬।


টস জিতে ভারতকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ইংরেজ অধিনায়ক বাটলার। কৌশল ছিল, প্রথমে প্রতিপক্ষকে যথাসম্ভব অল্প রানে বেঁধে রাখা। তারপর লক্ষ্য বুধে নিয়ে অঙ্ক কষে সেই রান তাড়া করা। যে কোনও বড় ম্যাচে যা অধিকাংশ অধিনায়কের পছন্দের স্ট্র্যাটেজি। তবে রোহিত টসের পর জানিয়েছিলেন, তিনিও প্রথমে ব্যাটিং করে নিতে চেয়েছিলেন। ভারতীয় শিবির আগের ম্যাচের দলই অপরিবর্তিত রেখেছে। অর্থাৎ, দীনেশ কার্তিককে বাইরেই বসতে হয়েছে। প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন ঋষভ পন্থ। যে দল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলেছিল।


ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ক্রিস ওকসের বলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন কে এল রাহুল। হাতে চোট থাকলেও, ক্রিজে টিকে ছিলেন রোহিত শর্মা। একবার তাঁর ক্যাচও পড়ে। মনে করা হয়েছিল যে, হয়তো ছন্দে ফেরার জন্য এরকম বড় মঞ্চই বেছে নেবেন রোহিত। কিন্তু ২৮ বলে ২৭ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে ফেরেন তিনি। সূর্যকুমার যাদব শুরুটা ভাল করেছিলেন। কিন্তু ১০ বলে ১৪ রান করে তিনিও জর্ডানের শিকার। সেখান থেকেই ইনিংসের হাল ধরেন কোহলি ও হার্দিক। চতুর্থ উইকেটে ৪০ বলে ৬১ রান যোগ করে পাল্টা লড়াই শুরু করেন দুজনে।


যদিও শেষ পর্যন্ত সেই রানও ইংল্যান্ডকে আটকে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল না।