নয়াদিল্লি: অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় যুব দলের দুই পেসারের গতির বিস্ফোরণ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছে। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিভা খুঁজে নেওয়ার একটা স্বাভাবিক দক্ষতা রয়েছে। সেই সৌরভও ভারতের যুব দলের দুই পেসার কমলেশ নাগারকোটি ও শিবম মাভির যেভাবে গতিতে অসি ব্যাটিং লাইনআপে কাঁপুনি ধরিয়েছেন, তাতে রীতিমতো মুগ্ধ। ওই ম্যাচে জিতে ভারত টুর্নামেন্টে অভিযান শুরু করেছে।
ম্যাচের পরই ট্যুইট মারফত দুই তরুণ পেসারের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছিল সৌরভ। তিনি বলেন, মাভি ও নাগারকোটি...১৪৫ কিমি গতিতে বোলিং করছে..অসাধারণ।
ম্যাচের পর অসি ব্যাটসম্যান জ্যাক এডওয়ার্ডসও ভারতীয় পেসারদের গতি দেখে বিস্মিত। তিনি ভেবেছিলেন, স্পিনই ওদের শক্তি। তিনি বলেছেন, জানতাম, ওদের দুই জোরে বোলার রয়েছে। খুব দ্রুত বল করেছে ওই দুই বোলার। ওরা যে ১৪৫ গতিতে বল করেছে, তা একজন আমাকে বলার পর জানতে পারলাম।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাগারকোটি ৩৭ তম ওভারে ঘন্টায় ১৪০ কিমি গতিতে বল করেছেন। একটা সময় তাঁর বলের গতি পৌঁছে গিয়েছিল ১৪৯ কিমি-তে। গড় গতি ১৪৩.৬ কিমি।
নাগারকোটির কোচ সুরেন্দ্র রাঠৌর বলেছেন, ও তৈরিই হয়েছে ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য।
ছাত্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বাবা-ছেলের মতোই। তিনি বলেছেন, নাগারকোটির বোলিং অ্যাকশন ওই শরীরে বায়োমেকানিকসের সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ । এরফলেই ও এত কম বয়সে টানা এত দ্রুত গতিতে বল করে যেতে পারে।
প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান পেসার ইয়ান বিশপও নাগারকোটিদের গতিতে মুগ্ধ।





নাগারকোটি আসলে এক সেনা জওয়ানের সন্তান। জয়পুরে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় প্রথম তাকে লক্ষ্য করেন রাঠোর।তখন তার বয়স আট। নিজের বয়সের চেয়ে বড়দের তুলনায় জোরে বল করতে দেখে রাঠোর তাকে নিজের অ্যাকাডেমিতে নিয়ে আসেন। ব্যাটিংয়ের হাতটাও তার যথেষ্ট ভালো।
নাগারকোটির গতিতে রাহুল দ্রাবিড়ও এতটাই মুগ্ধ যে তাকে বাংলাদেশ সফরে যাওয়া অনূর্দ্ধ ২৩ দলেও রেখেছিলেন তাকে।