কীভাবে?
অধিনায়ক হিসাবে পরপর তিন টেস্টে একটি করে দেড়শোর বেশি রানের ইনিংস খেললেন রুট। যে কৃতিত্ব ব্র্যাডম্যান ছাড়া আর কারও নেই। স্বপ্নের দৌড় চলছে রুটের। ২০২১ সালে তিনি তিনটি টেস্ট খেলেছেন। তিনটিতেই সেঞ্চুরি করেছেন। যার মধ্যে দুটিতে ডাবল সেঞ্চুরি। ভারতে আসার আগে শ্রীলঙ্কাকে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছেন রুটরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গলে প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন রুট। পরের টেস্টে একই মাঠে করেন ১৮৬ রান। তারপর ফের চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। চেন্নাইয়েই আবার শততম টেস্ট ম্যাচ খেলছেন রুট। কেরিয়ারে পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরি হল তাঁর।
১৯৩৭ সালের অ্যাসেজে দেশের মাটিতে অধিনায়ক হিসাবে ২৭০, ২১২ ও ১৬৯ রান করেছিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। সিরিজের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টে। রুট আর একটি বিরল নজিরও গড়েছেন। তিনিই বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার, একশোতম টেস্টে যাঁর ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে। রিকি পন্টিং তাঁর কেরিয়ারের একশোতম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে দ্বিশতরান করতে পারেননি।
রুট ছাড়াও শনিবার রান পেলেন বেন স্টোকস। ১১৮ বলে ৮২ রান করেন তিনি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ইশান্ত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা, আর অশ্বিন ও শাহবাজ নাদিম দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। দুদিনে ১৮০ ওভার বল করেও ইংল্যান্ডকে অল আউট করা গেল না কেন, দ্বিতীয় দিনের শেষে অবশ্য সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, এই উইকেটে ম্যাচের ফয়সালা হওয়া কঠিন। তার মধ্যে সারাদিনে ১৬টি নো বল করেন ভারতীয় বোলাররা। ম্যাচের ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলেও ট্যুইট করেন, এতগুলো নো বল মেনে নেওয়া কঠিন। পাশাপাশি আলোচনা চলছে, এত ওভার ব্যাট করা ইংল্যান্ডের কৌশলগত কোনও ভুল হল কি না তা নিয়েও। যেখানে পিচ থেকে বোলাররা বড় একটা সাহায্য পাচ্ছেন না, সেখানে ভারতকে দুবার আউট করার সুযোগ পাবে তো ইংল্যান্ড!