হায়দরাবাদ: সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে (IND vs AUS 3rd T20I) অস্ট্রেলিয়া ভারতের সামনে জয়ের জন্য ১৮৭ রানের বড় লক্ষ্য রেখেছিল। শুরুটা কিছুটা নড়বড়ে করলেও, বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) অনবদ্য অর্ধশতরানের সুবাদেই এক বল বাকি থাকতে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। ছয় উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ভারতীয় দল। পাশাপাশি ২-১ জিতে নিল টি-টোয়েন্টি সিরিজও।


শতরানের পার্টনারশিপ


১৮৭ রানের লক্ষ্য একেবারেই সহজ ছিল না। এই সিরিজে ভারতের দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা, উভয় ওপেনারই রান পেয়েছেন। তবে আজ দুইজনেই ব্যর্থ। প্রথম ওভারে ড্যানিয়েল স্যামসের বলে মাত্র ১ রানে ফেরেন রাহুল। রোহিত শুরুটা ভাল করলেও ১৭ রানে প্যাট কামিন্সকে পুল করতে গিয়ে আউট হন ভারতীয় অধিনায়ক। ৩০ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ভারতীয় দল যখন চাপে পড়ে যায়, তখনই তৃতীয় উইকেটে দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন সূর্য ও বিরাট। এই দুইজনে তৃতীয় উইকেটে ভারতের হয়ে ১০৪ রান যোগ করেন। এর সুবাদেই ম্যাচে ফিরে আসে ভারত।


তবে সূর্যকুমার যাদব বা বিরাট কোহলি, কেউই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি। ৩৬ বলে ৬৯ রান করে হ্যাজেলউডের শিকার হন সূর্য। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে স্যামসকে ছক্কা হাঁকালেও, পরের বলেই আউট হন কোহলি। তবে ৪৮ বলে ৬৩ রানের কোহলির ইনিংসে আগাগোড়াই তাঁর দাপট অব্যাহত ছিল। জাম্পাকে স্টেপ আউট করে ছয় হাঁকানো থেকে ফাস্ট বোলারদের পুল শট মারা, সবেতেই কোহলির ফর্মের ইঙ্গিত স্পষ্ট ছিল। কোহলি আউট হলে ভারতকে জেতানো বাকি কাজটা হার্দিক পাণ্ড্য করে দেন। তিনি ১৬ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। দীনেশ কার্তিক (১) অবশ্য আজ রান পাননি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্যামস সর্বাধিক দুই উইকেট নেন। এই জয়ের ফলেই এক বছরে সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতার (২১) রেকর্ড গড়ল ভারত।


প্রথম ইনিংস


ব্যাট আজ হাতে শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। তাঁর দৌলতেই মাত্র চার ওভারেই ৫০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য অপর ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (৭) রান পাননি। তাঁকে সাজঘরে ফেরান অক্ষর। গ্রিন নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেই আউট হন। ২১ বলে ৫২ রান করেন তিনি। তাঁকে ফেরান ভুবনেশ্বর।


গ্রিন আউট হতেই অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি কমে যায়। মাঝের ওভারগুলিতে অক্ষর ও যুদবেন্দ্র চাহাল বেশ ভালই বল করেন। স্মিথকে নয় রানে ফেরান চাহাল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ৬ রানে রান আউট হয়। জস ইংলিশ (২৪) অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেন বটে। তবে তাঁকে এবং ম্যাথু ওয়েডকে (১) একই ওভারে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলে দেন অক্ষর। ১১৭ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া যখন ধুঁকছিল, ঠিক তখনই ড্যানিয়েল স্যামস ও টিম ডেভিড দলের হাল ধরেন। সপ্তম উইকেটে দুইজনে মিলে ৬৮ রান যোগ করেন।


ডেভিড ইনিংসের শেষ ওভারে হর্ষল পটলের বলে বড় শট মারতে গিয়ে ২৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন। তবে স্যামস ২০ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এই দুই তারকার সুবাদেই ইনিংসের মাঝপথে চাপে পড়েও নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া সাত উইকেটের বিনিময়ে ১৮৬ রান করতে সক্ষম হয়। ভারতের হয়ে অবশ্য ফের একবার নজর কাড়েন অক্ষর পটেল। তিনিই ভারতের সফলতম বোলার। অক্ষর ৩৩ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন। জসপ্রীত বুমরা কিন্তু ম্যাচে কোনও উইকেট পাননি। 


আরও পড়ুন: সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে জিতলেই পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে বিশ্বরেকর্ড গড়বে ভারত