নয়াদিল্লি: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (Ind vs Aus) এক মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছেন চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara)। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় (অধুনা অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম) প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে ম্যাচ হবে পূজারার কেরিয়ারের একশোতম টেস্ট। যে ম্যাচ দেখতে হাজির থাকবেন বিশেষ দু'জন।
কারা?
ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিকদের পূজারা বলছিলেন, 'বাবা অরবিন্দ পূজারা আসছেন। বাবাই আমার প্রথম কোচ। ওঁর জন্যই ক্রিকেট খেলা শুরু হয়েছিল। স্ত্রী পূজা আসছে। পরিবার, বন্ধুদের ধন্যবাদ। কেরিয়ারে অনেক কিছু অর্জন করেছি।'
একশোতম টেস্টে খেলতে নামার আগে স্মৃতিমেদুর পূজারা। বলেছেন, 'আমি যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম বা আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটিয়েছিলাম, তখন ভাবিনি একশো টেস্ট ম্যাচ খেলব। এই সিরিজের আগে শেষ টেস্ট ম্যাচটা খেলার সময় উপলব্ধি করেছিলাম যে, একশো ম্যাচের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কেরিয়ারে উত্থান-পতন থাকে। খারাপ সময়গুলো লড়াই করে কাটিয়ে উঠতে হয়। আমি কখনওই একশো টেস্ট ম্যাচ খেলব ভাবিনি। আমি এমন ক্রিকেটার যে প্রত্যেক টেস্ট ম্যাচ, প্রত্যেক সিরিজ ধরে এগোই। একশো টেস্ট ম্যাচ এমন বিষয়, যেটা খেলতে খেলতে হয়ে যায়। কেউ আগে থেকে ঠিক করে রাখে না। ভাল ও ধারাবাহিকভাবে ক্রিকেট খেললে হয়ে যায়।'
টেস্ট অভিষেক ২০১০ সালে। বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। পরের ১৩ বছর ধরে ভারতীয় মিডল অর্ডারে তিনি হয়ে উঠেছেন নতুন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এত দীর্ঘ কেরিয়ারের রহস্য উন্মোচন করেছেন পূজারা। বলেছেন, 'মানসিকভাবে মজবুত হতে হয়। ক্রিকেটার হিসাবে নিজের দক্ষতায় বিশ্বাস রাখতে হয়। আমি গোটা কেরিয়ার সেটাই করে এসেছি। সেভাবেই সফল হয়েছি। জানি কী করে প্রথম ৫-৬ বছর সফল হয়েছিলাম। নিজের খেলা কখনও পাল্টানো যায় না। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নিজস্ব খেলার ধরন রয়েছে। ক্রিকেটার হিসাবে উন্নতি করতেই হয়। আমিও বেশ কয়েকটি শট পরে যোগ করেছি। তাতে উপকৃত হয়েছি।'
মাঝখানে ছন্দ হারিয়েছিলেন। বাদ পড়তে হয়েছিল জাতীয় দল থেকে। কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে চলে গিয়েছিলেন। রান করে ফিরেছেন জাতীয় দলে। পূজারার কথায়, 'সাসেক্সের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলে খুব লাভবান হয়েছি। অনেক শটের বৈচিত্র বেড়েছে। রাহুল ভাইয়ের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো। জাতীয় দলে ফের জায়গা করে নিয়েছি। আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে।'