মোহালি: প্রতিপক্ষের পার্টনারশিপ ভাঙতে পারছেন না? ডাক এল সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar)। এক হাত করে বল ঘুরিয়ে ব্যাটারদের জীবন ওষ্ঠাগত করে দিলেন। উইকেটও পেলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সে হিরো কাপের ফাইনালে ব্রায়ান লারার উইকেট হোক, কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইডেন টেস্ট। টরন্টোয় পাকিস্তানকে একা হাতে হারিয়ে দিয়েছিলেন বোলার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম হয়ে বারবার হাজির হয়েছেন যুবরাজ সিংহও।
যাঁরা কেউই প্রধান বোলার ছিলেন না। অনিয়মিত হলেও, বল হাতে ভেল্কি দেখাতে পারতেন। কিন্তু বর্তমান ভারতীয় দলে সেই মানের অনিয়মিত বোলার কোথায়? কেন কমে গেল অনিয়মিত বোলারদের ঝাঁঝ?
ব্যাখ্যা করেছেন ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মোহালিতে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচের আগে দ্রাবিড় বলেছেন, 'সচিন-সৌরভ-যুবরাজরা অনিয়মিত বোলার হিসাবে ভাল করত। তবে নিয়ম পাল্টে গিয়েছে এখন। আগে ৩০ গজের বৃত্তে চারজন ফিল্ডার থাকত। এখন পাঁচজন। তাতে অনিয়মিত বোলারদের ভূমিকাটা সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। যাঁদের নাম বললেন, তাঁরা বোলিং করতেন যখন সার্কলে ৪ জন ফিল্ডার রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। এখন পাঁচজন হয়ে যাওয়ার পর ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। এই সমস্যা সব দলকেই সামলাতে হচ্ছে। লক্ষ্য করলে দেখবেন, অন্যান্য দলেও অনিয়মিত বোলারদের সংখ্যা কমে গিয়েছে। শুধু ভারতীয় দলেই যে হয়েছে তা নয়। দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বলে খেলা হওয়ায় বা মাঝের ওভারগুলোয় ৩০ গজের বৃত্তে পাঁচজন ফিল্ডার রাখা বাধ্যতামূলক হওয়াটা এর অন্যতম প্রধান কারণ।'
অনিয়মিত বোলারদের তরফে চেষ্টার ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন দ্রাবিড়। বলেছেন, 'এমন নয় যে, পার্ট টাইম বোলাররা চেষ্টা করছে না। নেটেও বল করছে। কিন্তু ম্যাচে বল না করলে বোলার হিসাবে উন্নতি করবে কীভাবে। দুটি নতুন বল ও ৩০ গজের বৃত্তে পাঁচজন ফিল্ডার রাখার নিয়মের জন্য কোচ-অধিনায়করাও এখন চায় পাঁচজন স্পেশ্যালিস্ট বোলার খেলাতে। অথবা ভাল অলরাউন্ডার খুঁজে বার করতে চায়। তবে এটা নিয়ে লাগাতার কাজ করে চলেছি। আমাদের কয়েকজন বোলার যাতে ভাল ব্যাটিং করতে পারে, সেটাও দেখা হচ্ছে। তবে নতুন নিয়ম আগে এলে অনিয়মিত বোলারদের ব্যবহার কমে যেত।'
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দুই ম্যাচে প্রথম দলের এক ঝাঁক ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দ্রাবিড় অবশ্য বলছেন, 'অবশ্যই আমরা চাই সিরিজ়টা জিততে। গোটা সিরিজ়ে ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে, দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের ম্যাচ খেলার সুযোগ চাই। যারা হয়তো চোট আঘাত কাটিয়ে ফিরছে এবং কিছুদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিল। বিশ্বকাপের আগে ম্যাচ খেলতে পারাটা খুব ভাল। আবার এমন অনেক প্লেয়ার আছে যারা প্রচুর ক্রিকেট খেলছে। তাদের একটু বিশ্রাম দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে। আমরা এই সিরিজ়ে পেসারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাব। পাশাপাশি এই সিরিজে কয়েকজন ক্রিকেটার শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভাল কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। সেটা ভাল ওদের জন্য।'
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে বিরাট ধাক্কা দক্ষিণ আফ্রিকার, ছিটকে গেলেন দুই তারকা ক্রিকেটার
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন