কেপ টাউন: একটা রান আউট গোটা ম্যাচের রং পাল্টে দিয়ে গিয়েছে। ৩২ বলে তখন ম্যাচ জিততে ৪০ রান চাই ভারতের। দু রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur)। রিপ্লেতে দেখা যায়, তিনি ,ব্যাট ক্রিজে ঢোকানোর চেষ্টাই করেননি।


আর সেই দৃশ্য দেখে বিরক্ত নাসের হুসেন। ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, এ তো পুরো স্কুলের ছাত্রীদের মতো ভুল!


ম্যাচের পর হরমনপ্রীতকে নাসের হুসেনের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। হরমনপ্রীত বলেন, 'উনি বলেছেন এ কথা! হতে পারে, হয়তো ওঁর ওটা মনে হয়েছে। তবে ক্রিকেটে এরকম হয়। আমিও এ জিনিস দেখেছি, যখন দুরান নিতে গিয়ে ব্যাটারের ব্যাট আটকে যায়। তবে আমি বলব এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। তবে আমরা ফাইনালে যেতে পারিনি কারণ আমরা ফিল্ডিং, ব্যাটিং, বোলিং কিছুই ভাল করিনি।' যোগ করেন, 'আমি বলব এটা ভুল। তবে স্কুল ছাত্রীদের মতো নয়। কারণ আমরা সকলেই পরিণত। যেটা উনি বলেছেন, সেটা ওঁর ব্যক্তিগত মত। তবে আমি এভাবে দেখি না।'


রান আউট নিয়ে মিম


ম্যাচে তখন জাঁকিয়ে বসেছে ভারত। ৩২ বলে জয়ের জন্য চাই আর মাত্র ৪০ রান। হাতে ৬ উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা, দুরন্ত ছন্দে ব্যাট করছেন হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur)। সমর্থকেরা মোটামুটি ধরেই নিয়েছিলেন, অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার ফাঁড়া কাটতে চলেছে ভারতের। আর সেখানেই ম্যাচের উলটপুরাণ।


একটা রান আউটে বদলে গেল ম্যাচের রং। রান আউট হয়ে গেলেন হরমনপ্রীত। সেখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরে গেল। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫ রানে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ভারত।


হরমনপ্রীতের রান আউটের সঙ্গে অনেকে তুলনা করছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) একটি রান আউটের। ২০১৯ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। সেটাও ছিল সেমিফাইনাল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে ম্য়াচে রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন মাহি। সেই উইকেটই নিশ্চিত করে দিয়েছিল যে, ভারতের আর পরের পর্বে যাওয়া হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত তাই হয়। ধোনি ফিরতেই ভারতের বিদায়ঘণ্টা বেজে যায়। ঠিক যেভাবে বৃহস্পতিবার হরমনপ্রীত ফিরতেই ভারতের আশার প্রদীপ নিভল।


সবচেয়ে বড় কথা, হরমনপ্রীতও ধোনির মতোই সাত নম্বর জার্সি পরে খেলেন। কেপ টাউনে হরমনপ্রীত রান আউট হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল, সাত নম্বর জার্সি আর অধিনায়কের রান আউট বিশ্বকাপে ভারতের দুঃস্বপ্ন-সম। মিম ছড়িয়ে পড়ল নেটিজেনদের মধ্যে।


আরও পড়ুন: সিরিজের মাঝেই দুঃসংবাদ, প্রয়াত উমেশ যাদবের বাবা