ক্যানবেরা: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে ভারতীয় দল হেরে গেলেও, শেষ ম্যাচ জিতে কিছুটা মুখরক্ষা করতে পেরেছে। তবে দল শেষ ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজের ফল ১-২ করতে পারলেও, বুধবার একটি ব্যক্তিগত অনভিপ্রেত নজির গড়লেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর এই প্রথম তিনি গোটা বছরে একদিনের আন্তর্জাতিকে একটিও শতরান করতে পারলেন না।


২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাটের। তাঁর রেকর্ড অসাধারণ। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে মোট রান ও শতরানের নিরিখে কিংবদন্তী সচিন তেন্ডুলকরের কাছাকাছি একমাত্র বিরাট। একদিনের আন্তর্জাতিকে সচিনের মোট শতরান ৪৯। তার চেয়ে ৬টি শতরান দূরে বিরাট। তিনি সচিনকে টপকে একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্রুততম ১২ হাজার রান করার রেকর্ড গড়েছেন।

বিরাট ২৪২ ইনিংসে একদিনের ক্রিকেটে ১২,০০০ রান পূর্ণ করলেন। এর আগে একদিনের  আন্তর্জাতিকে দ্রুততম ১২ হাজার রানে রেকর্ড গড়েছিলেন সচিন। ৩০০ ইনিংসে সচিন  একদিনের ক্রিকেটে ১২ হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন। সচিনের তুলনায় ৫৮ ইনিংস কম খেলে ১২ হাজার রানের মাইলস্টোনে পৌঁছলেন কোহলি।

বিরাট ছাড়া ও বিশ্বের আরও পাঁচ ব্যাটসম্যান ১২ হাজার রান সম্পূর্ণ করার কৃতিত্ব অর্জন  করেছেন। তাঁরা হলেন সচিন, সনৎ জয়সূর্য, কুমার সঙ্গাকারা, রিকি পন্টিং ও মাহেলা জয়বর্ধনে।

বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট। একদিনের আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে দ্রুত ৮ হাজার রান (১৭৫ ইনিংস), ৯০০০ রান (১৯৪ ইনিংস, ১০ হাজার রান (২০৫ ইনিংস) ও ১১,০০০ রান (২২২ ইনিংস)-সংগ্রহের কৃতিত্বও রয়েছে তাঁর দখলে।

ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরাটের দুরন্ত রেকর্ড কারও অজানা নয়। বুধবারের ম্যাচ বাদ দিলে পর্যন্ত ২৫০ একদিনের ম্যাচে ৫৯.২৯ গড়ে তাঁর সংগ্রহ ছিল ১১,৯৭৭ রান। তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা ৪৩, হাফসেঞ্চুরি ৫৯। একদিনের ক্রিকেটে বিরাটের চেয়ে বেশি শতরান রয়েছে সচিনের। সচিনের শতরানের সংখ্যা ৪৯। বিরাটের কাছে সেই রেকর্ড ভাঙারও হাতছানি রয়েছে।

চলতি অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দল একদিনের সিরিজ হারলেও, বিরাটের পারফরম্যান্স মোটেই খারাপ নয়। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৮৯ রান করেন। তৃতীয় ম্যাচে করেন ৬৩ রান। এটি একদিনের আন্তর্জাতিকে তাঁর ৬০-তম অর্ধশতরান।

এ বছর অবশ্য একদিনের আন্তর্জাতিকে বিরাটের গড় ২০১১ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম। এ বছর তাঁর গড় ৪৭.৮৮। এর আগে ২০০৮, ২০১০ ও ২০১১ সালে তাঁর গড় ৫০-এর নীচে ছিল। ২০১২ থেকে গত বছর পর্যন্ত তাঁর গড় কোনওবার ৫০-এর নীচে নামেনি।