নয়াদিল্লি: প্রথম ইনিংসে ১৫০ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রানে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়ে ইন্দোর টেস্টে দুই দিন বাকি থাকতেই জয়ী হল ভারত। সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের গতির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ফলে তিন দিনেই খেল খতম। এক ইনিংস ও ১৩০ রানে জিতে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল বিরাট কোহলির দল। ম্যাচের পর দলের সিম অ্যাটাকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক কোহলি। তিনি বললেন, একেবারে ক্লিনিক্যাল পারফরম্যান্স। দল দারুণ খেলছে। টিভিতে লোকজন দেখছেন না, এমন কিছু বলতে পারব না আমি।
পেস বোলিং আক্রমণের ত্রয়ী মহম্মদ সামি, ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে ম্যাচের শুরু থেকেই মাথা তুলতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রায় আড়াই দিন খেলা হল।ভারতীয় বোলাররা তুলে নিলেন ২০ উইকেট। তাও খেলছেন না জসপ্রিত বুমরাহ। ২০১৮-তে টেস্ট অভিষেকের পর থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন ভারতের প্রধান স্ট্রাইক বোলার। সেই বুমরাহর অভাব এতটুকু অনুভব করতে দিলেন না সামি,ইশান্ত ও উমেশ।
কোহলি বলেছেন, বোলাররা ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে। ওরা যখন বল করে তখন যে কোনও পিচকেই ভালো মনে হয়। জসপ্রিত নেই, কিন্তু যে কোনও অধিনায়কের কাছেই এটা স্বপ্নের কম্বিনেশন। দলে ভালো বোলার থাকা যে কোনও দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। পরিংখ্যান ও রেকর্ড তো সবাই দেখতে পাচ্ছেন।আমরা এ বিষয়ে নজর দিইনি।
কোহলি বলেছেন, তিনি মায়াঙ্ক অগ্রবালকে খেলা চালিয়ে যেতে বলেছিলেন যাতে ওর ব্যক্তিগত স্কোর যতটা সম্ভব বেশি হয়। সংক্ষিপ্ত কেরিয়ারে মায়াঙ্ক তৃতীয় শতরান ও দ্বিতীয় শতরানের ইনিংস খেলেছেন। দ্বিতীয় দিন আউট হওয়ার আগে করেন ২৪৩ রান।
কোহলি বলেছেন, এক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা খুবই সরল। কোনও করুণ ক্রিকেটার ব্যাট করতে নামলে টেস্টে বুঝতে পারি বড় শতরান করতে কতটা সময় লাগতে পারে।বড় রান পাওয়ার গুরুত্বটা বুঝি। সিনিয়র ব্যাটসম্যান হিসেবে ওদের খেলা চালিয়ে যেতে দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই, ওদের বিশ্বমানের খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে তরুণ হিসেবে আমি যে ভুল করেছি, তা যেন ওরা না করে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট হবে দিন-রাতের। এ ব্যাপারে কোহলি বলেছেন, গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে খুবই উদগ্রীব। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে তা হবে চ্যালেঞ্জিং। বল পুরানো হয়ে গেলে সুইং করবে না। এই বিষয়টি বোলারদের কাছেও চ্যালেঞ্জিং।