লর্ডস: দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ৩৯১ রানে অল আউট হয়ে গেল ইংল্যান্ড। ভারত তাঁদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৬৪ রান। এদিন রুটের দুরন্ত অপরাজিত শতরানের ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ভারতের থেকে ২৭ রানে এগিয়ে গেল রুট বাহিনী। 


দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১১৯ রান তুলেছিল ইংল্য়ান্ড। ক্রিজে ছিলেন রুট ও বেয়ারস্টো। এদিন ২ জনে মিলেই দিনের শুরু থেকেই দারুণ পার্টনারশিপ গড়া শুরু করেন। জুটিতে স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেছিলেন বেয়ারস্টো। কিন্তু এই জুটি ভাঙেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বেয়ারস্টো। এরপর বাটলার ও মঈন আলি রুটের সঙ্গে টুকরো টুকরো পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। কিন্তু ওরা ২ জন কেউই ক্রিজে বেশিক্ষণ সেট হতে পারেননি। বাটলার ফেরেন ২৩ রান করেন। মঈন আলি ফেরেন ২৭ রান করে। 


রুট যদিও এদিনও ছিলেন চেনা ছন্দেই। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও শতরান হাঁকালেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক। শুধু এদিন শতরানই করলেন না। অপরাজিত ১৮০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন রুট। তিনিই একমাত্র ইংল্যান্ড অধিনায়ক যিনি টেস্ট কেরিয়ারে ৬ বার দেড়শো প্লাস রান করেছেন এক ইনিংসে। লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়ে এদিন ভারতের রানকে টেক্কা দিয়ে দেন তিনি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। ৩ উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা ও ২ উইকেট নেন মহম্মদ শামি। 


এর আগে ভারত তাঁদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৪ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। রোহিত শর্মা ৮৩ রান করে ফিরলেও শতরান হাঁকিয়েছিলেন কে এল রাহুল। ১২৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। যদিও রান পায়নি ভারতের মিডল অর্ডার। বিরাট ৪২ রান করেন। তাঁর ডেপুটি রাহানে যদিও চূড়ান্ত ব্যর্থ। ১ রান করে ফেরেন তিনি। প্রথম টেস্ট বৃষ্টিবিঘ্নিত ছিল। সেই ম্যাচ ড্র হয়েছিল।