অ্যাডিলেড: এই মাঠ তাঁর কাছে বরাবর পয়মন্ত। অ্যাডিলেড যে তাঁকে খালি হাতে ফেরায় না, বৃহস্পতিবার ফের একবার তা দেখিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ইংরেজ বোলারদের বিরুদ্ধে (Ind vs Eng) পরপর উইকেট খুইয়ে ভারতীয় শিবির যখন প্রবল চাপে, তখন ব্যাট হাতে প্রত্যাঘাত কিং কোহলির। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪০ বলে করলেন ৫০ রান। তাঁকে সঙ্গত করলেন হার্দিক পাণ্ড্য। ৩৩ বলে ৬৩ রান করলেন বঢোদরার অলরাউন্ডার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলল ১৬৮/৬। ম্যাচ জিততে জস বাটলারদের তুলতে হবে ১৬৯ রান।


টস জিতে ভারতকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ইংরেজ অধিনায়ক বাটলার। কৌশল ছিল, প্রথমে প্রতিপক্ষকে যথাসম্ভব অল্প রানে বেঁধে রাখা। তারপর লক্ষ্য বুধে নিয়ে অঙ্ক কষে সেই রান তাড়া করা। যে কোনও বড় ম্যাচে যা অধিকাংশ অধিনায়কের পছন্দের স্ট্র্যাটেজি। তবে রোহিত টসের পর জানিয়েছিলেন, তিনিও প্রথমে ব্যাটিং করে নিতে চেয়েছিলেন। ভারতীয় শিবির আগের ম্যাচের দলই অপরিবর্তিত রেখেছে। অর্থাৎ, দীনেশ কার্তিককে বাইরেই বসতে হয়েছে। প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন ঋষভ পন্থ। যে দল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলেছিল।


ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ক্রিস ওকসের বলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন কে এল রাহুল। হাতে চোট থাকলেও, ক্রিজে টিকে ছিলেন রোহিত শর্মা। একবার তাঁর ক্যাচও পড়ে। মনে করা হয়েছিল যে, হয়তো ছন্দে ফেরার জন্য এরকম বড় মঞ্চই বেছে নেবেন রোহিত। কিন্তু ২৮ বলে ২৭ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে ফেরেন তিনি। সূর্যকুমার যাদব শুরুটা ভাল করেছিলেন। কিন্তু ১০ বলে ১৪ রান করে তিনিও জর্ডানের শিকার।


 






সেখান থেকেই ইনিংসের হাল ধরেন কোহলি ও হার্দিক। চতুর্থ উইকেটে ৪০ বলে ৬১ রান যোগ করে পাল্টা লড়াই শুরু করেন দুজনে। ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন কোহলি। কিন্তু পরের বলেই তিনি ফিরে যান। হার্দিকও হাফসেঞ্চুরি করেন। শেষ পর্যন্ত ক্রিস জর্ডানের ইনিংসের একেবারে শেষ বলে হিট উইকেট হয়ে যান তিনি। ততক্ষণে অবশ্য ভারতের হাতে লড়াই করার মতো পুঁজি জমা হয়ে গিয়েছে।


আরও পড়ুন: আরও ২ বছর আগে সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল সূর্যকুমারের, সেমিফাইনালের আগে বললেন হার্দিক