বিশাখাপত্তনম: লাল বলের ক্রিকেটে ক্রমেই কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। বিরাট পরবর্তী প্রজন্মের ভারতের সেরা প্লেয়ার মানা হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু গত কয়েকটি ইনিংসে একেবারেই রান আসছিল না। তবে বিশাখাপত্তনমের ইনিংসটির পর হয়ত কিছুটা শান্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন শুভমন গিল। টেস্ট কেরিয়ারের তৃতীয় শতরান হাঁকালেন পাঞ্জাবের এই তরুণ। ২০১৭ সালের পর ফের তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কোনও ভারতীয়র ব্যাট থেকে ভারতের মাটিতে এল সেঞ্চুরির ইনিংস। প্রথম ইনিংসে রান পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন গিল। ভারতকেও দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের থেকে সাড়ে তিনশো রানের বেশি লিড এনে দিতে সাহায্য করলেন।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে অর্ধশতরান হাঁকিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিলেন। মধ্য়াহ্নভোজের বিরতির পর শ্রেয়স আইয়ারের উইকেট হারায় ভারত প্রথম। ক্রিজে সেট হয়েও ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শ্রেয়স। হার্টলির বলে স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এরপর রজত পাতিদারও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ৯ রান করে রেহান আহমেদের বলে আউট হন তিনি। এরপর অক্ষর পটেলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন গিল। ১৪৭ বলে ১০৪ রানের ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান গিল। শতরান হাঁকানোর পরই শোয়েব বসিরের বলে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গিল। অক্ষর পটেল ৪৩ রান করে আউট হন। দুজনে মিলে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। গিল-অক্ষর জুটিতে বোর্ডে ওঠে ৮৯ রান। চা পানের বিরতি পর্যন্ত ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন ভরত ও অশ্বিন।
গতকাল ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ভারতীয় দলের প্রথম ইনিংসে ৩৯৬ রানের জবাবে এদিন ২৫৩ রানে শেষ হয় ইংল্য়ান্ডের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এদিন সকালে শুরুতেই ভারতের ২জন ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন জিমি অ্যান্ডারসন। ১৭ রান করে যশস্বী জয়সওয়াল আউট হন ক্যাচ আউট হয়ে। অন্য়দিকে ১৩ রান করে রোহিতকে বোল্ড করেন। এরপর শ্রেয়স ও গিল মিলে ৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।