বিশাখাপত্তনম: দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান বোর্ডে তুলে নিল ভারতীয় দল। ভারতের ২ ওপেনার রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট এদিন সকালেই তুলে নেন জেমস অ্যান্ডারসন। এরপর শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন শুভমন গিল। অর্ধশতরান হাঁকালেন গিল। তবে শ্রেয়স ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। রজত পাতিদার ৯ রান করে আউট হন। 


গতকাল ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ভারতীয় দলের প্রথম ইনিংসে ৩৯৬ রানের জবাবে এদিন ২৫৩ রানে শেষ হয় ইংল্য়ান্ডের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এদিন সকালে শুরুতেই ভারতের ২জন ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন জিমি অ্যান্ডারসন। ১৭ রান করে যশস্বী জয়সওয়াল আউট হন ক্যাচ আউট হয়ে। অন্য়দিকে ১৩ রান করে রোহিতকে বোল্ড করেন। এরপর শ্রেয়স ও গিল মিলে ৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ২৯ রান করে টম হার্টলির বলে স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শ্রেয়স। রজত পাতিদারও বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি। ৯ রান করে রেহান আহমেদের শিকার হন তিনি। তবে শুভমন গিল এদিন ছন্দে ছিলেন। গত কয়েকটি ইনিংসে একেবারেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এদিন গিল অর্ধশতরান পূরণ করেন দলের প্রয়োজনের সময়। মধ্য়াহ্নভোজের বিরতির সময় পর্যন্ত অক্ষর পটেলের সঙ্গে ক্রিজে আছেন তিনি।


এর আগে গতকাল, ইংল্যান্ডের ২ ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি দলের হয়ে শুরুটা খুবই ভালভাবে করেন। মাত্র ৮.৩ ওভারে ৫০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলে ইংল্যান্ড। অবশেষে কুলদীপ যাদব ডাকেটকে ১৭ রানে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। সঙ্গীকে হারিয়েও ক্রলি কিন্তু নিজের আগ্রাসী মেজাজেই ব্যাটিং করতে থাকেন। মাত্র ৫২ বলে নিজের অর্ধ শতরান পূরণ করেন তিনি। গত ম্যাচের শতরানকারী অলি পোপ ও ক্রলি দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রান যোগ করেন। ছন্দে দেখানো ক্রলি অক্ষর পটেলের বলে ৭৬ রানে আউট হন।


এরপর বুমরা জো রুট এবং পোপ উভয়কেই স্বল্প রানের ব্যবধানে ফিরিয়ে ভারতে জোড়া সাফল্য এনে দেন। ১৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। স্টোকস এবং বেয়ারস্টো দ্বিতীয় সেশনে যাতে আর কোনও উইকেট না পড়ে তা সুনিশ্চিত করেন। তৃতীয় সেশনের শুরুতেই বেয়ারস্টোকে ২৫ রানে ফিরিয়ে বুমরা ফের একবার ভারতকে সাফল্য এনে দেয়। এরপর কুলদীপ যাদব বেন ফোকসকে ৬ রানে বোল্ড করেন। চাপের মুখে স্টোকস এবং হার্টলি ৪৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রানের ইনিংস। শেষমেশ ২৩৯ রানে শেষ হয় তাঁদের ব্যাটিং। ৬ উইকেট পান বুমরা। এই ৬ উইকেটের সুবাদেই টেস্টে ১৫০ উইকেটের গণ্ডি পার করে ফেললেন ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার।