রাজকোট: গতকাল নাসের হুসেন একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে ভারতীয় দলকে চারশোর ভেতরে আটকে রাখতে হবে। এদিন সকালে অ্যান্ডারসন ও রুট পরপর কুলদীপ ও জাডেজাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর মনে হয়েছিল যে সাড়ে তিনশোর গণ্ডিও হয়ত পেরতে পারবে না ভারত। কিন্তু অন্য়রকম ভেবেছিলেন বোধহয় অশ্বিন ও ধ্রুব। প্রথম জন এর আগেও বহু যুদ্ধের সৈনিক। দ্বিতীয় জন নিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন। জাডেজার সঙ্গে জুটি বেঁধে যেভাবে সরফরাজ নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। ঠিক সেভাবেই এদিন অশ্বিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ভরসা জোগান ধ্রুব জুড়েল। সরফরাজের ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন সবাই গতকাল। আজ ধ্রুবের ব্যাটিং দেখেও মনে হল এই ছেলে লম্বা রেসের ঘোড়া। অর্ধশতরান মিস করলেন, কিন্তু ৪৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে গেলেন রাজকোটের ২২ গজে। সবচেয়ে বড় কথা অশ্বিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতকে চারশোর গণ্ডি পেরনোর জন্য ভিত মজবুত করে দিলেন। 


মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৭৭ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে ব্যাটিং শুরু করেন ধ্রুব ও অশ্বিন। উড, অ্যান্ডারসনের অভিজ্ঞতার সামনে এতটুকুও নড়বড়ে মনে হয়নি জুড়েলকে। ৭৭ রানের পার্টনারশিপ অশ্বিনকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত রেহান আহমেদের বলে ফোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জুড়েল। অন্যদিকে অশ্বিনও ৩৭ রান করে রেহান আহমেদের শিকার হন। শেষ উইকেটেও লড়াকু ৩০ রান যোগ করেন যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজ। সিরাজ ২১ বল খেলে ক্রিজে থেকে ৩ রান করেন। অন্য়দিকে বুমরা নিজের টেস্ট কেরিয়ারের সর্বোচ্ ২৬ রান করলেন বুমরা। শেষ পর্যন্ত ৪৪৫ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস।


এদিন সকালে প্রথমে কুলদীপকে ফেরান অ্য়ান্ডারসন। ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুলদীপ। এরপর রুটের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জাডেজা। নিজের কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্ট শতরান গতকাল পূরণ করেছিলেন রাজকোটের ঘরের ছেলে। ১১২ রানের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান জাডেজা। এরপর অশ্বিনকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন ধ্রুব জুড়েল। সরফরাজের মত ধ্রুবেরও এটাই প্রথম টেস্ট। আর প্রথম ইনিংসেই বেশ সাবলীল দেখাল জুড়েলকে। উল্লেখ্য, ম্য়াচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তিনি ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন।