কানপুর: তিনি নাকি রান আটকে রাখার বোলিং করেন। কেউ কেউ বলতেন, তাঁর বলে না আছে স্পিন, না ফ্লাইট। শুধু নাকি জোরের ওপর টেনে টেনে বল করে যাওয়া। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আদর্শ। কিন্তু টেস্টে? নাক সিঁটকোতেন অনেকে।


অথচ টেস্টের আঙিনায় পা রেখে হইচই বাঁধিয়ে দিয়েছেন সেই অক্ষর পটেল (Akshar Patel)। সাড়ে তিন টেস্টে (যেহেতু কানপুরে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস এখনও বাকি) ৩২ উইকেট নিয়ে সব সমালোচনার জবাব দিয়ে দিয়েছেন গুজরাতের বাঁহাতি স্পিনার। চার টেস্টে পঞ্চমবার পাঁচ উইকেট। শনিবার এক সময় নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অন্তত চারশো তুলবে মনে করা হচ্ছিল। সেখান থেকে ২৯৬ রানে অল আউট হয়ে গেলেন কিউয়িরা। নেপথ্যে অক্ষরের স্পিনের ভেল্কি। ৬২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ত্রাস হয়ে উঠলেন। শিকারের তালিকায় সেঞ্চুরির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা টম ল্যাথাম থেকে শুরু করে রস টেলর, অনেক বড় নাম।


ম্যাচের মোড় ঘোরানো স্পেল করে উঠে সমালোচকদের একহাত নিলেন অক্ষর। ম্যাচের শেষে এবিপি লাইভ তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিল, টি-টোয়েন্টি স্পেশ্যালিস্ট তকমা ঝেড়ে ফেলে টেস্টের মঞ্চে সাফল্য কোন রসায়নে? অক্ষর আগ্রাসী সুরে বললেন, 'কে বলেছিল আমি শুধু সাদা বলের খেলোয়াড়? আমি সেরকম কিছু জানি না।' তারপরই আত্মবিশ্বাসী সুরে বললেন, 'প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে হোক বা ভারতীয় এ দলের হয়ে, সবসময় ভালই পারফর্ম করেছি। আমি কখনও ভাবিনি যে আমি শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটের খেলোয়াড়। কখনও লাল বল ও সাদা বলের ক্রিকেটার, এভাবে দেখিনি। আমি শুধু ঠিক করে রেখেছিলাম যখন যে ফর্ম্যাটেই সুযোগ পাই না কেন, দুই ধরনের ক্রিকেটেই ভাল খেলব। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে সুযোগ পেয়ে ভাল খেলেছিলাম।'


 







চার টেস্টে পঞ্চমবার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট। সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দেবেন কাকে? অক্ষর বললেন, 'আমার সাফল্যের কৃতিত্ব জাতীয় দলের সতীর্থদের দেব। কারণ ওরা আমার ওপর ভরসা রেখেছে। আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমার ওপর আস্থা রেখেছিল বলেই পারফর্ম করতে পেরেছি। তাই এই সাফল্যের কৃতিত্ব দলের সকলেরই।'


নিউজিল্যান্ড ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার পর সতীর্থ ব্যাটারদের উদ্দেশে তাঁর আশ্বাস, 'পিচে দুর্দান্ত কিছু বল ঘুরছে না। ব্যাটিং করার সময় খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এই পিচে দ্বিতীয় ইনিংসে ভাল স্কোরই উঠবে।'