কানপুর: টেস্ট ক্রিকেটকে কেন সেরা ফর্ম্যাট বলা হয়, কানপুরের গ্রিন পার্কে ফের একবার তা দেখা যাচ্ছে। যেখানে ম্যাচের রাশ পেণ্ডুলামের মতো দুলছে। কখনও তা থাকছে ভারতের হাতে, তো কখনও নিউজিল্যান্ডের (Ind vs NZ)।


রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবল চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল ভারত। একটা সময় ১০৩/৬ হয়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে টিম ইন্ডিয়াকে ম্যাচে ফেরালেন এমন দুজন, যাঁদের কাছে কানপুর টেস্ট অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শ্রেয়স আইয়ার, যিনি কানপুরেই টেস্ট অভিষেক ঘটিয়েছেন, প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবল চাপের মুখে করলেন ৬৫ রান।


দ্বিতীয়জন ঋদ্ধিমান সাহা। যাঁকে বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার বলে পরিচয় দেন বিরাট কোহলিও। অথচ টেস্টের প্রথম একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন ঋষভ পন্থের কাছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে পন্থ না খেলায় সুযোগ পেয়েছেন ঋদ্ধিমান। অথচ তাতেও স্বস্তি কোথায়! ঘাড়ের ব্যথায় এমনই কাবু হয়ে পড়েন যে, নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে উইকেটকিপিংই করতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে কিপিং করে কে এস ভরত এমন এক ক্যাচ নেন যে হইচই পড়ে যায়। ঘাড়ের ব্যথা সহ্য করেও রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ৬১ রানে অপরাজিত রইলেন ঋদ্ধিমান। ২৩৪/৭ স্কোরে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করল ভারত। নিউজিল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ২৮৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখে।


শনিবার দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর ছিল ১৪/১। ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ময়ঙ্ক অগ্রবাল। চেতেশ্বর পূজারা ৯ রান করে ক্রিজে ছিলেন। রবিবার ময়ঙ্ক ১৭ ও পূজারা ২২ রান করে ফেরেন। রান পাননি অজিঙ্ক রাহানে (৪) ও রবীন্দ্র জাডেজা (০)। রুখে দাঁড়ান শ্রেয়স ও ঋদ্ধি। শেষ দিকে আর অশ্বিন (৩২) ও অক্ষর পটেল (অপরাজিত ২৮) ভারতকে ব্য়াট হাতেও ভাল জায়গায় রাখলেন।


জবাবে চতুর্থ দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর এক উইকেটে চার রান। ম্যাচ জিততে আর ২৮০ রান চাই কেন উইলিয়ামসনদের। ভারতের চাই আর ৯ উইকেট।