কানপুর: ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে সোমবার আরও ২৮০ রান করতে হবে। অন্যদিকে, ভারতের লক্ষ্য থাকবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সোমবার সকালেই নিউজিল্যান্ডের উইকেট তুলে নেওয়া। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে স্বস্তি দেবে একটি পরিসংখ্যান। ১৯৮৭ সালের পরের থেকে টেস্ট ক্রিকেটে ভারত কখনও ২৭৫-এর বেশি রানের লিড নিয়ে দেশের মাটিতে কোনও ম্যাচ হারেনি।


১৯৮৭ সালের নভেম্বরে দিল্লি টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ২৭৫ রানের লক্ষ্য রেখেছিল ভারত। আর সেই লক্ষ্য তাড়া করে ৫ উইকেটে টেস্ট জিতে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর পর থেকে ভারত কখনও ২৭৫ রানের বেশি লিড নিয়ে দেশের মাটিতে টেস্টে হারেনি। যে কারণে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের এই লিড স্বস্তি দিচ্ছে আর অশ্বিনদের।


ভারত-নিউজিল্যান্ড (Ind vs NZ) টেস্ট সিরিজে কাঠগড়ায় আম্পায়ারিং। প্রথম টেস্টে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ওপেনার টম লাথাম (Tom Latham) বারবার ডিআরএস নিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে। সেই ছবি দেখা গেল নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসেও। দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হল কিউয়ি ওপেনার উইল ইয়ংকে। আউট না হয়েও আউট হলেন তিনি।


রবিবার, ম্যাচের চতুর্থ দিন ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ২৩৪/৭ স্কোরে ডিক্লেয়ার করে নিউজিল্যান্ডকে শেষ ইনিংসে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় । জয়ের জন্য ২৮৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ইয়ংয়ের উইকেট হারিয়ে বসে। যদিও বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হন তিনি। আউট না হওয়া সত্ত্বেও আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হতে হয় কিউয়ি তারকাকে।


তবে নিউজিল্যান্ড তার জন্য দোষ দিতে পারবে না কাউকে। বরং নিজেদেরই দুষতে বাধ্য হবে। ২.৬ ওভারে অশ্বিনের বলে ইয়ংকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার । ইয়ং অপর ওপেনার টম লাথামের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর রিভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আম্পায়ার যদিও তাঁর রিভিউয়ের আবেদন নাকচ করেন । কারণ, ডিআরএস নিতে হলে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ইঙ্গিত করতে হয় ব্যাটার বা ফিল্ডিং দলের অধিনায়ককে । তবে ইয়ং নির্ধারিত ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে আবেদন জানাননি। সামান্য পরে আবেদন জানান। তাঁর আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি । ডিআরএস আর নিতে দেওয়া হয়নি তাঁকে ।