লখনউ: বৃষ্টিবিঘ্নিত ৪০ ওভারের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালায় ভারত। তা সত্ত্বেও পরাজয় দিয়েই ওয়ান ডে সিরিজ (IND vs SA 1st ODI) শুরু করল ভারত। সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson) ও শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) দুরন্ত অর্ধশতরানও ভারতকে ম্যাচ জেতাতে পারল না। ২৫০ রান তাড়া করতে নেমে নয় রানে হারল ভারত। ২৪১ রানেই থামল ভারতের ইনিংস।


এদিন ভারতের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। ভারতের দুই ওপেনার শুভমন গিল ও শিখর ধবন যথাক্রমে চার ও তিন রানে সাজঘরে ফেরেন। আট রানেই দুই উইকেট হারায় ভারত। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ঈশান কিষাণ ভারতকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন। মন্থর গতিতে হলেও ৪০ রান যোগ করেন তাঁঁরা। তবে পর পর ওভারে ১৯ রানে রুতুরাজ ও  ২০ রানে ঈশান সাজঘরে ফেরেন। ৫১ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় ইনিংসকে অক্সিজেন প্রদান করেন শ্রেয়স আইয়ার। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়া দলকে চাপে ফেলেন শ্রেয়স।


স্যামসনের লড়াই


তবে দুর্ভাগ্যবশত ৩৭ বলে ৫০ রান করেই ফেরেন শ্রেয়স। এরপর শার্দুল ও সঞ্জু স্যামসনের লড়াই শুরু। ষষ্ঠ উইকেটে দুইজনে ৯৩ রান যোগ করেন। শার্দুল ৩৩ রানে ফিরলেও, লড়াই চালিয়ে যান সঞ্জু স্যামসন। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য ৩০ রান প্রয়োজন ছিল। তা সত্ত্বে লড়াই করেন সঞ্জু। তবে তাবরেজ শামসির বিরুদ্ধে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি ভারতীয় তারকা। শেষমেশ ২৪১ রানেই থামে ভারতের ইনিংস। সঞ্জু ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিন উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার লুঙ্গি এনগিডি।


প্রথম ইনিংস


মালান শুরুটা খারাপ করেননি। দুইজনে মিলে ওপেনিংয়ে ৪৯ রান যোগ করেন। তবে ২২ রানে মালানকে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শার্দুল ঠাকুর। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ফেরেন তেম্বা বাভুমা ও এইডেন মারক্রাম। বাভুমাকে আট রানে ফেরান শার্দুলই। শূন্য রানে মারক্রামকে বোল্ড করেন কুলদীপ যাদব। অপরদিকে, ডি কক কিন্তু নিজের ইনিংস চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে অর্ধশতরানের মুখেই রবি বিষ্ণোইয়ের শিকার হন ডি কক।


প্রোটিয়া তারকা ক্রিকেটারকে ৪৮ রানে এলবিডব্লু করেই আন্তর্জাতিক ওয়ান ডেতে নিজের প্রথম উইকেট নেন বিষ্ণোই। এই ম্যাচেই তাঁর অভিষেক ঘটেছে। শুরুটা ভাল করলেও, ১১০ রানে চার উিকেট হারিয়ে হঠাৎ করেই চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন অবস্থা থেকেই দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন মিলার। এই সফরেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইতিমধ্যেই শতরান করে ফেলেছেন তিনি। এই ম্যাচেও তিনি তাঁর ফর্ম অব্যাহত রাখলেন। মাত্র ৬৩ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেললেন মিলার।


ভারতীয় আক্রমণকে চাপে ফেলার কাজটা অবশ্য ক্লাসেনই শুরু করেন। ৬৫ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। দুইজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে প্রোটিয়াদের হয়ে মোট ১৩৯ রান যোগ করেন। এর সুবাদেই ৪০ ওভারে ২৪৯ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের হয়ে সফলতম বোলার শার্দুল ঠাকুর। তিনি আট ওভারে ৩৫ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। প্রথম ওয়ান ডে জয়ের জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য ২৫০ রান। 


আরও পড়ুন: সমালোচকদের একহাত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট বুমরার