পুনে: চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপের আঘাতটা হেনেছিলেন ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যদিও ম্যাচের শেষ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়া ব্যাটিংকে ভেঙেছিলেন ফাস্ট বোলার মহম্মদ সামি। পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ভারত ২০৩ রানে প্রথম টেস্টে জয়ী হয়।
৩৯৫ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি তাদের। তবে একটা সময় ড্যান পিট (৫৬) ও অভিষেককারী সেনুরান মুথুস্বামী (অপরাজিত ৪৯) নবম উইকেটে ৯১ রান যোগ করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু ভারতের বোলিং আক্রমণের সামনে তাঁদের লড়াই বেশিক্ষণ চলেনি।
এই দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সের পর ভারতীয় দলের বোলিং কোচ ভরত অরুণ বলেছেন, যে পিচে বল রিভার্স সুইং করে সেখানে তা করে দেখানোর ক্ষমতা দলের পেসারদের রয়েছে। এটা দলের টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্যের একটা কারণ।
ভরত অরুণ বলেছেন, বিখাশাপত্তনম টেস্টে প্রথম ইনিংসে খুব ভালো ব্যাটিং করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে মহম্মদ সামি যে ধরনের বোলিং করে, তাতে পিচ থেকে সহায়তা পেয়েছিল। আর এরপরই ও ওই দুরন্ত স্পেলটা করে।
বোলিং কোচ বললেন, সামির ওই স্পেলটা আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। তা নাহলে যে পরিবেশ ছিল, তাতে কাজটা সহজ ছিল না। আমরা জানতাম কাঙ্খিত ফল পেতে হলে আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। ওই উইকেটে ধৈর্য্য অবলম্বনের প্রয়োজন ছিল।
টার্নি ট্রাকে জোরে বোলারদের দক্ষতার পরীক্ষায় ফেলে দেয় কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ভরত অরুণ ভারতীয় দলের বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট তাদের ওই কৌশল রপ্ত করতে সাহায্য করেছে।
বোলিং কোচ বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট যখন খেলা হয়, তখন সাধারণত পাটা উইকেট থাকে। এজন্য আমাদের বোলাররা রিভার্স সুইংয়ে দক্ষ। আউটফিল্ডও সব সময় খুব একটা ভালো থাকে না। কোনও বোলারের পক্ষে সফল হতে গেলে রিভার্স সুইংয়ের কৌশল শিখতে হয়, আর এক্ষেত্রে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবদান প্রচুর।
ভারতের বোলিং বিভাগ এতটা সফল কেন, তা নিয়ে বলতে গিয়ে বোলিং কোচ জানিয়েছেন, দক্ষতা থাকলে যে কোনও পিচেই পেসারদের কাছে সুযোগ থাকে। আর আমাদের ফাস্ট বোলাররা গত কয়েক বছরে দেশের ও দেশের বাইরে তা করে দেখিয়েছে।