কেপটাউন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলার অন্যতম আলোচিত ইস্যু ছিল ডিআরএস বিতর্ক। অশ্বিনের বলে ডিন এলগারের লেগবিফোর হওয়ার ডিআরএস নিয়ে বেঁচে যান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। কিন্তু এই ইস্যুতেই এবার মুখ খুললেন আকাশ চোপড়া। তিনি বলেন, ''সিদ্ধান্ত অপছন্দ হতেই পারে। তার পালটা আওয়াজ তোলার মধ্যেও কোনও অন্যায় নেই। আমিও যখন জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখলাম, আমিও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে কীভাবে উইকেট মিস করল। দেখে মনে হচ্ছিল যে ওই বলটা নিঃসন্দেহে উইকেটে লাগত।''
এরপরই প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার আরও বলেন, ''আমি কখনই মনে করি না যে এটা সঠিক পদ্ধতি প্রতিবাদের। যেভাবে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ব্যবহার করলেন, তা সত্যিই খুব খারাপ নিদর্শন। অনেক বাচ্চা বাচ্চা ছেলে এই খেলা দেখছে, ওদের কাছেও ভুল বার্তা পৌঁছবে।''
গতকাল, ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে আসার পর ২১ তম ওভারে। বল করতে এসেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ক্রিজে তখন ছিলেন ডিন এলগার ও কিগান পিটারসেন। ঠিক কী হয়েছিল?
সেই ওভারের চতুর্থ অশ্বিনের বলে ডিন এলগারকে এলবিডব্লিউ আউট দেন আম্পায়ার এরাসমাস। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন এলগার। বল পিচড করা থেকে ইমপ্যাক্ট পর্যন্ত সব কিছুই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছিল। তবে ট্র্যাকিংয়ে হঠাৎই দেখা যায় যে বল উইকেটের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু এলগারের প্যাডের যেখানে বল লেগেছিল সেখান থেকে এতটা উঁচুতে বল ওঠার কথাই নয়। এরপরি ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্রিকেটাররা। বিরাট বলে ওঠেন মাঠেই যে, ''ডকাস্টাররা এভাবেই টাকা কামায়। ওয়েল ডান ডিআরএস। খুব ভালো কাজ হয়েছে।'' তিনি এরপর স্ট্যাম্প মাইকের সামনে গিয়ে বলেন, ''সব সময় প্রতিপক্ষের দিকে ক্যামেরা ফোকাস না করে নিজেদের দেশের প্লেয়ারদের দিকেও তাকানো উচিত। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা বলের পালিশ বজায় রাখার সময়েও তোমাদের উচিত ছিল নজর রাখা।''
কে এল রাহুলকে বলতে শোনা যায় যে, ''গোটা দেশ ১১ জনের বিরুদ্ধে খেলছে।'' অশ্বিনও স্ট্যাম্প মাইকের সামনে এসে এগিয়ে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রডকাস্টার সুপারস্পোর্টসের প্রতি নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন, ''দারুণ সুপারস্পোর্টস। কিন্তু তোমরা জয়ের জন্য আরও ভাল কোনো পথ বেছ নিতে পারতে।'' জায়ান্ট স্ক্রিনে ডিআরএসের বিশ্লেষণ দেখার পর আম্পায়ার এরাসমাসের প্রতিক্রিয়া ছিল, ''এটা সম্ভব নয়।''