কেপ টাউন: তিনি রান পাচ্ছিলেন না। তার ওপর পিঠের চোটে কাবু হয়ে পড়ায় দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি। সিরিজ নির্ণায়ক টেস্টে ফিরেই বিরাট কোহলি (Virat Kohli) দেখিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার বলা হয়।
নিউল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিরুদ্ধে একা লড়াই করলেন ভারত অধিনায়ক। ২০১ বলে ৭৯ রান করে আউট হলেন। তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের ২৮তম হাফসেঞ্চুরি। তবে কোহলির ইনিংস আর কিছুটা চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara) লড়াই ছাড়া ভারতীয় ইনিংসে আর বলার মতো কিছু নেই। ৭৭ বলে ৪৩ রান করে আউট হন পূজারা। টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করে প্রথম ইনিংসে ভারত অল আউট হয়ে গেল ২২৩ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আগুনে স্পেল করলেন কাগিসো রাবাডা। বিরাট কোহলির উইকেট-সহ তাঁর ঝুলিতে চার শিকার। নবাগত মার্কো জানসেন তিন উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট ডুয়ান অলিভিয়ের, লুনগি এনগিডি ও কেশব মহারাজ।
ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। নিউল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে (Ind vs SA) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক। সেই নিউল্যান্ডস, যেখানে ভারত কোনওদিন কোনও টেস্ট ম্যাচ জেতেনি। যে মাঠে বরাবর দাপট দেখিয়ে এসেছেন পেসাররা। যদিও সিরিজ জিততে মরিয়া ভারতীয় শিবির প্রথম ব্যাটিং করে যেন বার্তা দিতে চাইল যে, লড়াইয়ের জন্য তারা প্রস্তুত।
প্রথম দিন প্রথমে ব্যাট করে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ভারতের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৭৫ রান। শুরুটা ভালই করেছিলেন দুই ওপেনার কে এল রাহুল ও ময়ঙ্ক অগ্রবাল। ১১.২ ওভারে ৩১ রান যোগ করেন তাঁরা। কিন্তু এরপরই প্রত্যাঘাত প্রোটিয়া বোলারদের। রাহুলকে (১২) ফিরিয়ে দেন ডুয়ান অলিভিয়ের। তার ৬ বল পরেই ময়ঙ্ককে ফেরান কাগিসো রাবাডা। যিনি এই সিরিজে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। চলতি সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক। ১৫ রান করে ফেরেন ময়ঙ্ক। বিনা উইকেটে ৩১ থেকে ৩৩/২ হয়ে যায় ভারতের স্কোর।
ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল, ফের একবার দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং শক্তির সামনে নতজানু হয়ে পড়বে ভারতীয় ব্যাটিং, তখনই পাল্টা লড়াই শুরু করেন চেতেশ্বর পূজারা ও বিরাট কোহলি। পিঠের চোটের জন্য জোহানেসবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি কোহলি। সিরিজ নির্ণায়ক টেস্টে মাঠে ফিরলেন। বড় রানের সম্ভাবনা তৈরি করছে তাঁর ব্যাট। শেষ পর্যন্ত বিরাট ৭৯ ও পূজারা ৪৩ রান করেন।