বেঙ্গালুরু: করোনাকালে প্রথম ম্যাচ হচ্ছে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। উত্তেজনার খামতি ছিল না শহরজুড়ে। কানায় কানায় ভরেছিল মাঠ। সিরিজ ২-২ অবস্থায়। শেষ ম্যাচে হবে ফয়সালা। ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) হাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি উঠছে, এই দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় ছিলেন দেশের আপামর ক্রিকেটপ্রেমীরা।


কিন্তু ক্রিকেটীয় দ্বৈরথে হার-জিতের সুযোগই পাওয়া গেল না। দক্ষতার লড়াইয়ে একে অপরকে টেক্কা দিয়ে ট্রফি তুলে নিতে পারল না কোনও শিবিরই। খলনায়ক হয়ে হাজির হল বৃষ্টি। বরুণদেবের রোষে ভেস্তেই গেল ম্যাচ। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs SA) টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হল অমীমাংসিতভাবে।


রাজকোটে আগের ম্যাচে রান নিতে গিয়ে কনুইয়ে চোট পেয়েছিলেন। তাই এদিন মাঠে নামতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়মিত অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। তাঁর পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন স্পিনার কেশব মহারাজ।


অধিনায়ক বদলে গেলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার টস ভাগ্য সঙ্গ ছাড়েনি। এদিনও টস জেতেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক মহারাজ। আর ফের ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। চলতি সিরিজে যেটা কার্যত নিয়মই করে ফেলেছিল প্রোটিয়া শিবির। টস জেতো। বিপক্ষকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠাও। তারপর লক্ষ্য জেনে নিয়ে সেই অনুযায়ী অঙ্ক কষে ব্যাটিং করো। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যে ফর্মুলা মেনেই ভারতকে হরারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।


তবে তৃতীয় ম্যাচ থেকেই দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ভারতের। পরপর দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সমস্ত কৌশল ভেস্তে দিয়ে জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-২ করে ফেলে। তারপর সিরিজের ভাগ্য নির্ভর করেছিল রবিবারের ম্যাচের ওপর।যে ম্যাচ জিতলে ট্রফি জয়ের সুযোগ ছিল পন্থদের। কিন্তু বাদ সাধল বৃষ্টি।


টসের পরই বৃষ্টি নামে। খেলা সময়ে শুরু করা যায়নি। ম্যাচ শুরু হয় সন্ধ্যা ৭.৫০-এ। ওভার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৯-এ। শুরুতেই ঝড় তোলেন ঈশান কিষাণ। প্রথম ওভারেই কেশব মহারাজকে জোড়া ছক্কা মারেন। কিন্তু তারপরই ফেরেন ঈশান। ফিরে যান রুতুরাজ গায়কোয়াড়ও। ৩.৩ ওভারে ভারতের রান যখন ২৮/২, তখনই ফের বৃষ্টি নামে। অঝোর বর্ষণে ম্যাচ আর শুরু করা যায়নি। সিরিজ শেষ হয় অমীমাংসিতভাবেই।


আরও পড়ুন: '৫০ করায় বাবা কিনে দিয়েছিলেন ট্র্যাকশ্যুট, বাড়ি ফিরলেই মেয়ের চিন্তা, আবার কবে ম্যাচ'