সেঞ্চুরিয়ন: আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে সেঞ্চুরিয়নে শুরু হতে চলেছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা (india vs south africa) প্রথম টেস্ট। ওমিক্রনের (omicron) প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় দর্শক শূন্য মাঠেই খেলতে নামবে ২ দল। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ২ শিবিরই। তবে ম্যাচে আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারতীয় দলের ২ তারকা বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ravichandran aswin) ও জশপ্রীত বুমরার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার (dean elger)। 


সাংবাদিক বৈঠকে এসে এলগার বলেন, ''অশ্বিন একজন বিশ্বমানের বোলার। সম্ভবত ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা স্পিনার। কিন্তু ওঁর দক্ষিণ আফ্রিকায় সেভাবে সাফল্য সেই। আমাদের ব্যাটারদের বিরুদ্ধে ভারতের মাটিতে অশ্বিন যে সাফল্য পেয়েছে তার সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। কারণ এখানের পরিবেশ, পরিস্থিতি একদম আলাদা। আমরা আমাদের গেমপ্ল্যান নিয়েই ভাবছি। শুধুমাত্র একজন প্লেয়ারকে নিয়ে ভাবলে হবে না, প্রতিপক্ষ দলের প্রত্যেককে নিয়েই ভাবতে হবে।''


জসপ্রীত বুমরাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এলগার বলেন, ''বুমরা একজন বিশ্বমানের বোলার। ওঁদের যদি কোনও পেস বোলার দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশে ঘাতক হয়ে উঠতে পারে তবে তা বুমরা। কিন্তু বাকিদেরও সমীহ করতে হবে। কাউকে হালকাভাবে নিলে হবে না।''


২৬ অগাস্ট সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্ট পার্কে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচের আগে ছিটকে গোটা সিরিজ থেকেই ছিটকে গেলেন আনরিক নোখিয়া (Anrich Nortje)। মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড থেকে জানানো হল যে, পুরনো চোট না সারায় ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না নোখিয়া। শুধু প্রথম টেস্ট নয়, গোটা সিরিজ থেকেই ছিটকে গেলেন প্রোটিয়া পেসার।


দক্ষিণ আফ্রিকা পেস আক্রমণের অন্যতম প্রধান মুখ নোখিয়া। কাগিসো রাবাডা ও নোখিয়াই ভারতীয় ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় ফেলবেন বলে মনে করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে নোখিয়ার গতিতে ভারতীয় ব্যাটাররা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। নিয়মিতভাবে ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করেন নোখিয়া। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতেও আগুনে গতিতে বল করেছেন। তিনি না খেলায় কিছুটা হলেও সুবিধা হয়ে গেল ভারতের।