এবেখা: ডারবানে বৃষ্টিতে দুই দলের প্রথম ম্যাচ ভেস্তেই গিয়েছিল। মঙ্গলবার ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (IND vs SA) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও থাবা বসাল বৃষ্টি। টসের খানিক আগে পর্যন্ত ঝিরঝির করে চলল বৃষ্টি। তারপর ভারতের স্কোর যখন ১৮০/৭, এবং ইনিংসের তখনও ৩ বল বাকি, ফের নামল বৃষ্টি। মাঠ ঢাকা পড়ল প্লাস্টিকের কভারে।


রাত ১১.১০ মিনিটে যখন ম্যাচ শুরু হল, তখন আর ব্যাট করতে হয়নি ভারতকে। ম্যাচের ওভার সংখ্যাও কমানো হল। ম্যাচ কমে দাঁড়াল ১৫ ওভারে। যার মধ্যে পাওয়ার প্লে হিসাবে খেলা হবে ৫ ওভার। ৬ ওভারের পরিবর্তে। আর ১৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের জন্য পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়াল ১৫২ রান।


মেঘলা আকাশ, থেকে থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি, টস জিতে তাই ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়াতেও ভারতের দুই ব্যাটার প্রমাণ করে দিলেন, তাঁদের ব্যাটের বারুদ ঝিমিয়ে পড়েনি। প্রথমজন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। হার্দিক পাণ্ড্যর (Hardik Pandya) অনুপস্থিতিতে যিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন স্কাই। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৫৬ রান করে আউট হন সূর্যকুমার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি স্কাইয়ের। তিনি স্পর্শ করলেন জনি বেয়ারস্টো, মহম্মদ রিজ়ওয়ান ও ডেভিড ওয়ার্নারকে। তবে বাকিদের চেয়ে কম ইনিংস খেলে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি হল সূর্যকুমারের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫৬ ইনিংসে ২০০০ রান হয়ে গেল স্কাইয়ের। তিনি ধরে ফেললেন বিরাট কোহলির কীর্তি। কোহলির সঙ্গে যৌথভাবে সূর্যকুমার এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের দ্রুততম ব্যাটার হিসাবে ২ হাজার রানের মালিক। প্রথম ভারত অধিনায়ক হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করলেন সূর্য।


দ্বিতীয়জন রিঙ্কু সিংহ (Rinku Singh)। মাত্র ৩০ বলে ৫০ রান করলেন। ১৯তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মারক্রামকে পরপর ২ বলে ২ ছক্কা মারলেন। তার মধ্যে একটি ছক্কা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে পড়ল প্রেস বক্সে। ছক্কার বলের ধাক্কায় ভেঙে গেল প্রেস বক্সের কাচ। যা দেখে হতবাক সুনীল গাওস্কর, ডেল স্টেনদের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারেরাও। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রিঙ্কুর প্রথম হাফসেঞ্চুরি। 


শুরুতেই দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমন গিল, দুজনই কোনও রান না করে আউট হন। ৬/২ হয়ে যাওয়া দলকে টানলেন সূর্য ও রিঙ্কুই। ৩৯ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত রইলেন রিঙ্কু। তাঁরা দুজন ছাড়া রান পেয়েছেন তিলক বর্মা। তিন নম্বরে নেমে ২০ বলে ২৯ রান করেন। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ৩২ রানে ৩ উইকেট জেরাল্ড কোয়েৎজ়ের।


আরও পড়ুন: ধোনির বুড়ো হাড়ে ভেল্কি, কোহলির কীর্তি, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ২২ গজের ২০২৩


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।