ধর্মশালা: নোভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এবার ক্রিকেট মাঠেও। এতটাই যে, ধর্মশালায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে গ্যালারি ভরা নিয়ে সংশয় রয়েছে।


হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার এই স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা ২২ হাজার। যার মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ৪০ শতাংশ টিকিট অবিক্রীত থেকে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, করোনা-আতঙ্কে বড় জমায়েত এড়িয়ে যাচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষই। ধর্মশালা স্টেডিয়ামে মোট ১২টি কর্পোরেট বক্স রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৩টির টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রত্যেকটা বক্সে ২০টি করে আসন রয়েছে এবং প্রত্য়েক বক্সের টিকিট ২ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। তাই হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাকে আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হবে বলে খবর।

রয়েছে বৃষ্টির আশঙ্কাও। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা যে কারণে ইন্দুনাগের পুজো দিয়েছেন বুধবার। স্থানীয়দের বিশ্বাস, ইন্দুনাগ বৃষ্টির দেবতা আর তাঁকে তুষ্ট করা গেলে দুর্যোগের আশঙ্কা থাকে না।

করোনা-আতঙ্ক রয়েছে ক্রিকেটারদের মধ্যেও। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা আগেই জানিয়েছেন যে, ভারত সফরে তাঁরা করমর্দন করবেন না। এবার ভারতীয় ক্রিকেটারেরা বল পালিশ করতে লালার ব্যবহারে রাশ টানার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। জাতীয় দলের পেসার বলেছেন, ‘আমরা এটা নিয়ে ভেবেছি। তবে লালা ব্যবহার না করলে বলের পালিশ ধরে রাখব কীভাবে। তারপর ব্যাটসম্যানদের কাছে মার খাব আর বলা হবে আমরা ভাল বল করতে পারিনি। তবে হ্যাঁ, এই ভাবনার নেপথ্যে যুক্তি রয়েছে। আমাদের যা নির্দেশ দেওয়া হবে সেই মতোই করব।’