নয়াদিল্লি: তরুণ ক্রিকেটারদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ। নিজেদের মেলে ধরার। এই বার্তাটাই দিতে চাইছিলেন রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) সিরিজ শুরুর আগে। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাট হাতে সেই কাজটাই করলেন ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। রোহিত নেই, রাহুল নেই। সুযোগ চলে এসেছে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামার। যার শুরুটা দারুণ করলেন ঝাড়খণ্ডের এই তরুণ উইকেট কিপার ব্যাটার। তাঁর ঝোড়ো অর্ধশতরানের সুবাদেই প্রথমে ব্যাট করে দুশোর গণ্ডি পেরিয়ে গেল ভারতীয় দল।
এদিন প্রথমে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ঈশান কিষাণ ও রুতুরাজ গায়কোয়াড। শুরু থেকেই দু জনে চালিয়ে খেলা শুরু করেন। ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ২৩ রান করে রুতুরাজ ফিরে গেলেও আটকানো যায়নি ঈশান কিষাণকে। এদিন ১১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই তরুণ। ২৭ বলে ৩৬ রান করেন শ্রেয়স আইয়ার। পন্থ ২টো বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ২৯ রান করেন। লোয়ার অর্ডারে নেমে ব্য়াট হাতে ঝড় তোলেন হার্দিক পাণ্ড্য। সহ অধিনায়কের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। অল্প সুযোগেই ব্যাট হাতে নিজের জাত চেনালেন গুজরাত টাইটান্সের আইপিএল জয়ী অধিনায়ক। ২ টো বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১২ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান বোর্ডে তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ১টি করে উইকেট নেন কেশব মহারাজ, আনরিচ নোখিয়া, ওয়েন পার্নেল ও ডোয়েন প্রিটোরিয়াস। ৪ ওভার বল করে ৩৫ রান দিলেও কোনও উইকেট পাননি তারকা পেসার কাগিসো রাবাডা।
আরও পড়ুন: মাঠের বাইরেও তিনিই 'কিং', আবার বুঝিয়ে দিলেন বিরাট