লখনউ: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের জয়রথ চলছে। বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কাকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬২ রানে হারিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া। ভারতের ১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে ১৩৭/৬ স্কোরে আটকে গেল শ্রীলঙ্কা। রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma) ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেলেন।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিল, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেখানেই যেন শুরু করল ভারত। লখনউয়ে ফের দাপট ভারতীয় ব্যাটারদের। ওপেনিংয়ে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়লেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। মাত্র ১১.৫ ওভারে ১১১ রান যোগ করলেন দুই ক্রিকেটার। যাঁরা আইপিএলেও খেলেন এক দলে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে (Mumbai Indians)। রোহিত ৩২ বলে ৪৪ রান করে আউট হলেও হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ঈশান। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ৮৯ রান করে ফেরেন রাঁচির বাঁহাতি ব্যাটার। রোহিত-ঈশানের পর ব্যাট হাতে দাপট দেখান শ্রেয়স আইয়ারও (Shreyas Iyer)। তিনিও হাফসেঞ্চুরি করেন। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৯৯/২।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। ওয়ান ডে সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের ৩-০ হারানোর পর ইডেনে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সবকটি জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। ক্যারিবিয়ান শিবিরকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল টিম ইন্ডিয়া। ঘটনা হচ্ছে, রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলা দলে ছ'টি পরিবর্তন করেছে টিম ইন্ডিয়া। এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় দীপক হুডার। সেই সঙ্গে এদিনের ম্যাচে খেলছেন সঞ্জু স্যামসন, যশপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহাল ও রবীন্দ্র জাডেজা। যাঁদের কেউই ইডেনে শেষ ম্যাচে ভারতের প্রথম একাদশে ছিলেন না।


টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা। রোহিত অবশ্য তাতে ঘাবড়াননি। যদিও তিনি জানান, তাঁদেরও কৌশল ছিল রান তাড়া করার।


ওপেনিং করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন রোহিত ও ঈশান। মাত্র ৭১ বলে ১১১ রান যোগ করেন দুজনে। ৪৪ রান করে রোহিত আউট হওয়ার পরেও স্বমেজাজে ব্যাট করে যান ঈশান। ১০টি চার ও তিনটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রেয়স আইয়ারকে পর্যাপ্ত সুযোগ না দেওয়ায় সমালোচনা হয়েছিল। এদিন সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের নতুন অধিনায়ক। মাত্র ২৮ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে লাহিরু কুমারা ও শনাকা একটি করে উইকেট পেয়েছেন।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে যেটুকু লড়াই করার করলেন চারিথ আসালাঙ্কা। কিন্তু তাঁর অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিও দলের বিপর্যয় আটকাতে ব্যর্থ। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার ও বেঙ্কটেশ আইয়ার।