ব্রাসেলস: আর হাতেগোনা কয়েকটি দেশ নয়, রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে একজোট হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মস্কোকে এ বার এমনই হুঁশিয়ারি দিল নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (The North Atlantic Treaty Organisation/NATO)। তারা জানিয়েছে, সেনা অভিযানের নামে ইউক্রেনের উপর আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া (Russia Ukraine Crisis)। অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার কড়া মূল্য চোকাতে হবে তাদের (NATO Warns Russia)।


বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পর থেকে দিন ভর লাগাতার, গুলি করে বিমান নামানো, ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে মস্কোর তীব্র সামলোচনা করে ন্যাটো। বলা হয়, ‘রাশিয়ার আচরণ ইউরো-আটলান্টিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ভূকৌশলগত ক্ষেত্রে তার ফল ভোগ করতে হবে রাশিয়াকে।’ মিত্র দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তাদের সবরকম ভাবে সহযোগিতা করতে ন্যাটো প্রস্তুত বলেও জানানো হয়।


রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন জরুরি বৈঠক করেন ন্যাটো-র অন্তর্ভুক্ত সদস্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা। তার পর ন্যাটোর তরফে জানানো হয় যে, ইউক্রেনে রুশ সেনা অভিযানকে প্রতিহত করতে সে দেশের পূর্বে পদাতিক বাহিনী এবং বায়ুসেনার সংখ্যা বাড়ানো হবে। ন্যাটোর দাবি, ‘সেনা অভিযান চালিয়ে ভয়ঙ্কর ভাবে ইউক্রেনকে আক্রমণ করেছে রাশিয়া। তাদের এই পদক্ষেপ একেবারেই যুক্তিপূর্ণ নয়। সম্পূর্ণ ভাবে বিনা প্ররোচনায় ইউক্রেনের উপর আঘাত হেনেছে রাশিয়া।’


আরও পড়ুন: Russia Ukraine Conflict: রুশ আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের লুগানস্কের দুটি শহরের আত্মসমর্পণ


অবিলম্বে রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারেরও নির্দেশ দেয় ন্যাটো। বলা হয়, ‘অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ভাবে এই পদক্ষেপের কড়া মূল্য চোকাতে হবে রাশিয়াকে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালাবে ন্যাটো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ সমস্ত আন্তর্জাতিক সংগঠনের কথা বলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’


ন্যাটোর দাবি, কূটনৈতিক মাধ্যমে আলোচনা চালিয়ে সমস্যার সমাধান করতে গোড়া থেকেই সুপারিশ করছিল তারা। রাশিয়ার সঙ্গে এই নিয়ে বার বার আলোচনার চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু আজও তাতে সাড়া দেয়নি রাশিয়া। বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য একা রাশিয়াই দায়ী বলে মত ন্যাটোর।


যদিও ন্যাটো এবং আমেরিকার লাগাতার ইন্ধনেই জল এতদূর গড়িয়েছে বলে আগেই দাবি করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর অভিযোগ, সীমান্ত বরাবর রাশিয়াকে ঘিরে ফেলাই লক্ষ্য ছিল আমেরিকা এবং ন্যাটোর। সেই কাজে ইউক্রেনকে বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করেছে তারা। তাই বাধ্য হয়ে তাদের এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে।